জিকা ভাইরাস: জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
দক্ষিণ আমেরিকার পর জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বময় যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল তা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। যদিও এখনো এই রোগ প্রাদুর্ভাব রয়ে গেছে বেশ কিছু অঞ্চলে এবং স্থায়ী প্রভাব বিস্তারকারী হুমকি বলেই মনে করছে সংস্থাটি।
জিকা ভাইরাস যখন বিশেষ করে আমেরিকা মহাদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন এটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার পর্যায়ে পরে বলে উল্লেখ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, জরুরি অবস্থা জারির নয় মাস পর তা উঠিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গতবছর ব্রাজিলে নতুন করে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মেলার পর মাত্র চার মাসের মধ্যে বহু দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। এর বাহক এডিস এজিপ্টি মশা।
জিকা ভাইরাসে সচরাচর মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায় না। এর লক্ষণও সবসময় স্পষ্ট থাকে না। এই ভাইরাস সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হয়ে এসেছে নবজাতকদের নিয়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভবতী মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে, মস্তিষ্কের গঠন থাকতে পারে অপূর্ণ। এ রোগকে বলে মাইক্রোসেফালি।
এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম ও বেশি করে তরল খাবার খেতে পরামর্শ দেয়া হয়।
ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় এলাকা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন জিকা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘস্থায়ী উপায় খুঁজছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন