দেশ স্বাধীন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা কেন পরাধীন?

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন অনুভব করছে, এই শিক্ষিত মানুষদের ‘বসতিতে’ তারাই সবচেয়ে পরাধীন! ক্যাম্পাসে থাকতে হলে, হলে সিট পেতে হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের আনুগত্য করতে হয়। তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ করতে হয়।
আজ ২৬শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এভাবেই জানালো তাদের স্বাধীনতা ভাবনা আর খেদের কথা।
তাদের মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আজও প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতা তারা পায়নি। প্রতিবছর নামমাত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার গড়ার যে স্বপ্ন বুনেছিলেন সে অর্থে ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ হয়নি।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন গরীবদের নিয়ে বাঁচতে, গরীবের স্বপ্ন পূরণ করতে। তারা যাতে মোটা ভাত, মোটা কাপড় পরে শান্তিতে থাকতে পারে সে চিন্তাই বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। কিন্তু এখন গরীবদের নিয়ে কেউ ভাবে না।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে হচ্ছে। দেশে যে সরকার আসে সে সরকারের জয়গান গেয়ে মিছিল-মিটিং এ যেতে হচ্ছে। তাদের নিজের কোনো মতপ্রকাশ করার সুযোগ তারা পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো পক্ষ নিতে হচ্ছে। তাই স্বাধীন দেশে থেকেও তারা পরাধীন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন নারীর বস্ত্রহরণের মতো ঘটনা ঘটছে। অথচ অপরাধীতের শাস্তি হচ্ছে না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষাথী রহমান শোয়েব। এ প্রসঙ্গে কলা অনুষদের ঝুপড়িতে তার সঙ্গে কথা হয়, তিনি বলেন, যে চেতনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন তা আজও পূরণ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের যে অর্থে স্বাধীনতা তা অর্জিত হয়নি। যারা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল তারা আজ অনেকেই পথে পথে, এমনকি ভিক্ষা করে জীবনযাপন করছেন অনেকেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক রাহাত বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তা পাচ্ছি কই। শুধু গত বছরের তনুর মতো প্রায় ৭’শ নারী ধর্ষিত হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এর সুষ্ঠু বিচার কই? স্বাধীনতা দিবসটা নিতান্তই নামমাত্র!
আবার অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের সবাইকে যদি ফাঁসি দেয়া হয় তাহলে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। নাগরিক অধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সিফাত বলেন, ‘অবশ্যই সাম্প্রতিক সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ দুঃখজনক। তবে যুদ্ধাপরাধী অভিযুক্তদের ফাঁসি দেয়া হলে এ অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে এবং নাগরিক অধিকার নাগরিকরা যথাযথভাবে ভোগ করবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন

টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের একটি প্রমিত নিরীক্ষণ ব্যবস্থা টোফেলবিস্তারিত পড়ুন
মারা গেলেন কোটা আন্দোলনে আহত জবি শিক্ষার্থী সাজিদ
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞানবিস্তারিত পড়ুন