ইন্টারনেট সবার হাতের নাগালে আসার পর যেমন জ্ঞান ও বিনোদনের দিগন্ত খুলে দিয়েছে, তেমনি পর্নোগ্রাফিকেও এনে দিয়েছে নাগালের মধ্যে।দেখা গেছে, সারা বিশ্বের মানুষ ইন্টারনেটে যত বিষয় খোঁজ করে, তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে পর্নোগ্রাফি। মনোবিদরা জানান, পর্নফিল্ম দেখা ক্ষতিকর নয়।কিন্তু প্রতিনিয়ত পর্নফিল্ম দেখতে দেখতে বহু মানুষের কাছেই তা নেশার পর্যায় পৌঁছে যায়। পর্নোগ্রাফিতে প্রবল ভাবে আসক্ত হয়ে পড়েন তারা। এর ফলে দেখা দেয় নানা রকম মানসিক সমস্যা।

মনোবিজ্ঞানীদের জানান, ৪টি উপায়েই পনোগ্রাফির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জেনে নিন সেই উপায়গুলো..

১. নিজের মনের থেকে ভালো শাসক আর কেউ নয়। তাই এসব ফিল্মে আসক্তি কমাতে নিজেই একদিন প্রতিজ্ঞা করে ফেলুন, আজ দেখব না। একবার ভাবুন পর্নোগ্রাফির অতিরিক্ত আসক্তি কী ভাবে আপনার পেশা ও সামাজিক জীবনে কুপ্রভাব ফেলছে।পর্নফিল্মের আসক্তি কি আপনাকে অসামাজিক করে তুলছে? জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলি উপভোগ করতে পারছেন না? এই প্রশ্নগুলি নিজেকে করুন। উত্তরও নিজেই খুঁজে পাবেন। দেখবেন, আসক্তি কেটে গেছে।

২. আরও একটি কার্যকরী উপায় হল, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের অ্যাডাল্ট কনটেন্ট মুছে ফেলুন। প্রত্যেক পর্নফিল্ম আসক্ত ব্যক্তিই পর্নভিডিও জমিয়ে রাখেন।এমন কোনও সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, যা পর্নসাইট ব্লক করে দেয়। কিংবা ব্রাউসার হিস্ট্রি ক্লিয়ার করে দিন। দেখবেন সুফলটা হাতেনাতে পাবেন।

৩. মনোবিদদের মতে, কোনও কাজ না থাকলেই পর্নফিল্ম দেখার ইচ্ছে বাড়ে।অর্থাত্ ব্যস্ততা না-থাকাই পর্নফিল্মে আসক্তি বাড়ার অন্যতম কারণ। তাই তাদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অন্যান্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে।একা একা কম্পিউটারের সামনে বিনিদ্র রাত কাটানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। রাতে ঘুম না এলে কোনও সিনেমা দেখুন বা বই পড়ুন।পর্নফিল্মের আসক্তি ধীরে ধীরে কেটে যাবে।

৪. শুধুই কম্পিউটারে সময় কাটানো অভ্যাসে পরিণত করবেন না।মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যারা বাড়িতে কম্পিউটারে বসে বেশি সময় কাটান, তাদের মধ্যে পর্নফিল্ম দেখার প্রবণতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই শখ করে পর্নফিল্ম না দেখে অন্য কোনও শখে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যদি কোনও কাজ না থাকে, বই পড়া অভ্যাস করে ফেলতে পারেন। কোনও লাইব্রেরির সদস্য হয়ে যান। দেখবেন ব্যক্তিত্বে অসাধারণ পরিবর্তন আসবে।সর্বোপরি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইতিবাচক চিন্তাই পর্নফিল্মে আসক্তি থেকে মুক্তি দেয় বলে জানান তারা।