২০১৭ সাল। বছরের প্রথম দিন। নবদম্পতি পথশিশুকে পাশে বসিয়ে আহার করাচ্ছেন, খাবার তুলে দিচ্ছেন পরম আদরে। “ফেসবুকে শেয়ার করে লাইক বা শেয়ার করে বাহবা পাওয়ার জন্য নয়; বরং লোকদেখানো ট্যাগ না খাওয়ার জন্য নবদম্পতি কাউকে জানান নি পরিকল্পনা সম্পর্কে। অনুরোধ করেছেন বিষয়টি গোপন রাখতে। ব্যয়বহুল কাজটি করেছেন শুধুমাত্র সমাজকে শেখাতে, কিভাবে ভিন্নভাবে সামাজিক অনুষ্ঠান করা যায়। কিভাবে পথশিশুদের সামাজিক মর্যাদার অাসনে অাসীন করা যায়।

২১ জন পথশিশুকে নিয়ে সেদিন মিরপুরের এক নবদম্পতি এমন এক বিরল ঘটনার জন্ম দিল। পথশিশুদের সাথে খাবার টেবিল শেয়ার করেছেন, উপভোগ করেছেন অনুষ্ঠানে তাদের সেরা অতিথির মর্যাদা দিয়ে। সামাজিক দায়বদ্ধতাকে সবার সামনে তুলে আনার জন্য, পথশিশুদের নিয়ে এমন এত সুন্দর ভাবনার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞতা পাওয়ার যোগ্য সেই নবদম্পতি। এই পর্যন্ত আসতে কম কষ্ট হয় তাদের। বাচ্চাদের এনে গোসল করিয়েছি, সাজিয়েছি রাজপুত্র রাজকন্যা হিসেবে। গত সপ্তাহে কেনা হয় তাঁদের জন্য নতুন কাপড়, দেয়া হয় নতুন জুতা। প্রাইভেট গাড়ী ভাড়া করে নিয়ে যাই তাদের ইচ্ছা মেটাতে।

পাড়ার বিয়ের অনুষ্ঠানের কৌতুহল মেটাতে গিয়ে কতদিন লাঠির তাড়া খেয়েছে যে পথশিশুরা, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে খালি হাতে ফিরেছে বিয়ের বাসী নষ্ট খাবার না পেয়ে। আজ তাঁরাই ছিলো বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে। একসাথে আহার করেছেন নবদম্পতিরা।