প্রধানমন্ত্রীর আফসোস…
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে বর্ণিল সাজে। ঢাকায় গণভবনে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজন দেখে সেখানে থাকতে না পেরে হতাশা জানিয়েছেন তিনি।
সকালে গণভবনে বসে বিশ্ববিদ্যালয়টির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্বোধন শেষে এ বিষয়টি নিয়েই আফসোসের কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমি এখানে গণভবনে বসে আছি, কিন্তু মনটা পড়ে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপনারা আনন্দ করুন। এখন আমার আফসোস হচ্ছে কেন আমি সেখানে গেলাম না।’
এরপর একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। টিকিটের খামের ওপর নিজের সই করে সেটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামানসহ অন্যান্যদেরকে দেখান তিনি।
এর আগে দেয়া বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাই শুভেচ্ছা জানান। আনন্দ করার পাশাপাশি পড়ালেখায় মনযোগ দিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে, বৃক্ষ রোপন করতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ছাত্র যদি নিজের উদ্যোগে একটি করে হলেও গাছ লাগান এবং বিশ্ববিদ্যালয় শেষে তারা যখন পরে কর্মস্থলে যাবে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসবে তখন নিজের গাছ থেকে ফল পেরে খেতে খেতে সবার ভালো লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে যে হলে থাকেন, সে হলের সামনে ফুলের বাগান করতে পারেন। বাধবিলতা, জুঁই, কামিনী বা অন্য কোনো ফুল গাছ লাগাতে পারেন। তাতে সৌন্দর্যটাও ভালো লাগবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক শিক্ষার্থীদের অ্যালামনাই অ্যাসেসিয়েশনকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাদের কাজ কেবল একসঙ্গে পিকনিক বা খাওয়া দাওয়া করা না। তারা আরও গঠনমূলক কাজে এগিয়ে আসতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার করে দেবে বা অন্য কেউ করে দেবে সেই মুখাপেক্ষী না হয়ে অ্যালামআই অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বা লাইব্রেরি করে দিতে পারে, বই পত্র কিনে দিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই ব্যবসা বাণিজ্য করে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। তারা হয়ত পয়সা খরচই করতে পারেন না। তারা এগিয়ে আসতে পারে। কেবল এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারা দেশেই স্কুল কলেজে তারা সহযোগিতা করতে পারেন, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে বাচ্চাদের টিফিনের ব্যবস্থা করতে পারেন।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
শীতে যেসব খাবার খেলে শিশুরা সুস্থ থাকবে
শীতে ঠিক কোন-কোন নিয়ম মেনে চললে সন্তান দ্রুত সেরে উঠবে?বিস্তারিত পড়ুন
বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন বেবী নাজনীন-জয়া
কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পাচ্ছেনবিস্তারিত পড়ুন
বাগেরহাটে চাষ হচ্ছে ‘নেদারল্যান্ডের লিলিয়াম’
দেশের মাটিতে নতুন সংযোজন লিলিয়াম ফুল। এটি শীতপ্রধান দেশের হলেওবিস্তারিত পড়ুন