প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়েই প্রশ্ন!
চলতি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে সমালোচনা চলছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনা করে মন্তব্য করছেন। বিষয়টি কেউ কেউ ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন’ বলেও অভিহিত করেছেন।
গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। রোববার অনুষ্ঠিত ইংরেজির এক সেট প্রশ্নপত্রে সৈকত ইসলাম নামে এক ছাত্রের বাবা-মা, তাদের পেশা ও অবস্থান নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া হয়। সেটির ওপর করা কয়েকটি প্রশ্নের একটিতে ইংরেজিতে সৈকত নাম দিয়ে জানতে চাওয়া হয় সে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ কি না।
সমালোচকদের কেউ কেউ বলছেন, পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের মধ্যে এভাবে নাম দিয়ে ধর্মীয় পরিচয় জানার কোনো মানে হতে পারে না। অনেকে এটিকে ‘সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। কেউ অভিযোগ করলে এ বিষয়ে নেপের কাছে জানতে চাওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন নিয়েও আপত্তি তুলেছেন এক পরীক্ষার্থীর মা। তিনি বলেন, একটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, নারী নির্যাতনের প্রধান প্রভাব কোনটি। এর মধ্যে সম্ভাব্য চারটি উত্তর দিয়ে সঠিক উত্তরটি বাছাই করতে বলা হয়েছে। সম্ভাব্য চারটি উত্তর হলো ক. মানসিক ক্ষতি, খ. শারীরিক ক্ষতি, গ. আধ্যাত্মিক ক্ষতি ঘ. বিকাশগত ক্ষতি। ওই অভিভাবকের প্রশ্ন, নারী নির্যাতনের প্রভাব শারীরিক ক্ষতি ও মানসিক ক্ষতি দুটোই হতে পারে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিকাশগত ক্ষতিও হতে পারে। তাঁর অভিযোগ, শিশুদের নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করা কোনোভাবেই উচিত হচ্ছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।বিস্তারিত পড়ুন