বদরুল সম্পর্কে যা বললেন খাদিজার মা
সিলেট প্রতিনিধি: গত সোমবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্রলীগের এক নেতার হামলার শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন খাদিজা। তিনি বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার খাদিজার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা মনোয়ারা বেগম বিলাপ করে কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমি দুধ-কলা খাইয়ে কালসাপ পুষেছিলাম। যাকে নিজের ছেলের মতো আশ্রয় দিয়েছি, সে এ কাজ করল? সন্তানদের খাওয়ার আগে তাকে খাইয়েছি।’
মনোয়ারা বেগমের পাশে বসা খাদিজার চাচাত বোন নাদিয়া ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। নাদিয়া জানান, সারাদিন তারা দু’জন মিলে দুষ্টুমি করতেন। দু’বোন মিলে পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতেন। গত সোমবার থেকে তাদের বাড়িতে বইছে পিনপতন নীরবতা।
প্রায় ৭ বছর আগে তাকে এবং তার ছোট ভাইবোনদের বাড়িতে লজিং থেকে পড়াতেন বদরুল। বছর তিনেক আগে জাঙ্গাইল কলেজে তার বোনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় এলাকার লোকজন বদরুলকে মারধর করে। এর পরও তার বোনের পিছু ছাড়েনি বদরুল। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সালেহ।
ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শিক্ষা-দীক্ষায় এ গ্রাম অনেকটা পিছিয়ে। কিন্তু নার্গিসদের পরিবারের লোকজন সবাই শিক্ষিত। প্রবাসে থাকা মাসুক মিয়া অনেক কষ্ট করে জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে সন্তানদের পড়ালেখা চালিয়ে নিচ্ছেন। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে শাহিন আহমদ চীনে লেখাপড়া করছেন। নার্গিস কলেজে পড়েন। এমন পরিবারের মেয়ের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন।
এলাকার লোকজন এ ঘটনায় হতবাক। তাদের একটাই দাবি_ ফাঁসি দিবে হবে ওই জঘন্য অপরাধীকে। এ ঘটনায় সিলেটজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
দ্বিতীয় দফার বন্যায় সিলেট অঞ্চলে সাত লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি।বিস্তারিত পড়ুন
সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেঞ্চুগঞ্জে দুটি বগি লাইনচ্যুতবিস্তারিত পড়ুন
সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
গত কয়েকদিনের অবিরত হালকা ও ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি এবং ভারতবিস্তারিত পড়ুন