বাসর রাতে নতুন বউ এ কি করলেন!
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সব কিছুই অনেক সহজ, আর ইদানীং তরুণ তরুনীদের কাছে যে বিষয়টি সর্বাধিক প্রাধান্য পাচ্ছে সেটি হলো সেলফি। নিজেকে আকর্ষণীয় করে প্রকাশ করার জন্য অনেকে বিভিন্নভাবে নিজের সেলফি তুলে থাকেন, কিন্তু এই সেলফি নেশা যে আধুনিক তরুণ তরুণদের কাছে এক প্রকারের নেশা হয়ে যাচ্ছে সেটা তারা নিজেরাও অনেক সময় উপলব্ধি করতে পারেন না।
ঘটনাটি গত শুক্রবারের মাহাবুব নামের এক তরুণ ব্যাবসায়ী বিয়ে করেন তার পাশ্ববর্তী এলাকার এক মেয়েকে, মাহাবুব মোটামুটি ধার্মিক এবং মোটামুটি ধার্মিক। মেয়েটি ঢাকার সিদ্বেশ্বরী কলেজে থার্ড ইয়ারে পড়াশোনা করছেন, পারিবারিকভাবে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। মেয়েটি ঢাকায় পড়াশোনা করে বলে প্রথমে মাহাবুবের বিয়েতে দ্বিমত ছিলো কিন্তু পরবর্তীতে রাজি হয়, যথারীতি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। সব ঠিকমতো হচ্ছিলো কিন্তু বাসর রাতে ঘটে বিপত্তি, নববধূর ছিলো ব্যাপক সেলফির নেশা। নতুন বরের সাথে কিছু কথা বলেই শুরু করে দেই সেলফি তোলা। নিজেকে কেমন লাগছে সেটা দেখার জন্য বারবার সেলফি তুলছে আবার কখনো বা নতুন বরের সাথে সেলফি তুলছে!
শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, এই সেলফি আবার ফেসবুকে আপলোড করেছে, বন্ধুরা বিভিন্নভাবে কমেন্টস করছে সেগুলোর আবার উত্তর ও দিচ্ছেন। এক পর্যায়ে নতুন বর বিরক্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, পরের দিন সকালে এই সেলফি গুলো ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ওঠে, কনের এলাকা বরের এলাকার অনেকের কাছেই পোঁছে যাই এই সেলফি, নতুন বউকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, তার এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য।
কিন্তু কে শোনে কার কথা চলতে ফিরতে নিজেকে কেমন দেখাচ্ছে সেটার সেলফি ধারণ করছেন বারবার, এমনকি খাবার টেবিলে শ্বশুর শ্বাশুড়ী সাথেও সেলফি তুলছেন। এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না, আর নতুন বউ কিছুতেই সেলফি তোলা বন্ধ করছিলেন না। প্রথমবার শ্বশুরবাড়ির থেকে বাবার বাড়ি যেয়ে মেয়ে জানিয়ে দিলেন সে আর শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন না। শ্বশুরবাড়ির লোকজন নাকি অসামাজিক,যুগের সাথে তাল মিলাতে পারেনা, ইতিমধ্যে এলাকায় নতুন বউয়ের নাম দেওয়া হয় সেলফি বউ, গ্রামজুড়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়, ধার্মিক মাহাবুব ও এই বউয়ের সাথে থাকতে রাজি নয়।
সুতরাং যাহা হবার তাই হলো বিয়ের পাচ দিনের মাথায় সংসার ভেংগে গেলো, এখন পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্ন, ধরে নিলাম মেয়েটি ছিলো সর্বগুনে গুনান্বিত কিন্তু এই সেলফি তোলার নেশা তার জীবনের যে ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনবে সেটা কি কারও কাম্য ছিলো, এখানে দোষ কার? দোষ হচ্ছে হালের আধুনিকতার সংক্রামক ব্যাধি, তাই আবারো বলছি যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সাবধান থাকুন। বিষয়টি সচেতনামূলক হিসেবে শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন, সেলফিতে আক্তান্তদের করনীয় কি? কমেন্টস করে আপনার মুল্যবান মতামত দিন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন