শনিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরও কয়েদির পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি!

কারাগারে দুর্ধর্ষ হাজতি বা কয়েদির পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় কোনো হাজতি বা কয়েদির মৃত্যু হলে যত দ্রুত সম্ভব তা খুলে ফেলাই নিয়ম। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন এক কয়েদির মৃত্যুর পরও চার ঘণ্টা ধরে পায়ে পরানো ছিল ডাণ্ডাবেড়ি। গতকাল ঢামেকের নতুন ভবনের ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে মেডিসিন বিভাগের চার নম্বর ইউনিটে এ দৃশ্য দেখে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। মৃত কয়েদির নাম মাহফুজুর রহমান (২২)।

তিনি নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার নতুন আতাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জয়নাল আবেদিন। মাদক মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। তার কয়েদি নম্বর ২৪৯৮/এ।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘৭ সেপ্টেম্বর মাহফুজুরকে আমরা কারাগারে বুঝে পাই। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় ১০ সেপ্টেম্বর তাকে ঢামেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।’

মৃত্যুর পরপরই নিয়ম অনুযায়ী মাহফুজুরের পায়ের ডাণ্ডাবেড়ি খুলে ফেলার কথা। কিন্তু চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কয়েদির মতো আটকাবস্থায় থেকে যায় তার লাশ। সকাল ১০টার দিকে কারারক্ষী জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে মাহফুজুরের লাশ বুঝে নেন ঢামেক মর্গ অফিসের আলমগীর। সেখান থেকে তাকে ঢামেক কলেজ মর্গে নেওয়া হয়।

সে সময়ও লাশের পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি লাগানো ছিল। পরে সংবাদ পেয়ে হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার ও ছেনি নিয়ে ছুটে আসেন ঢামেকে ডিউটিরত কারারক্ষী জাকারিয়া। আধঘণ্টা চেষ্টার পরও ডাণ্ডাবেড়ি খোলা না গেলে তারা সাবান পানির আশ্রয় নেন। এতেও বিফল হলে কারারক্ষী জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে মাহফুজুরের লাশ ট্রলি থেকে ফ্লোরে নামান জাকারিয়া। তারপর আবার চেষ্টা করেন। এভাবে চেষ্টার আধঘণ্টারও বেশি সময় পর ডাণ্ডাবেড়ি খোলা সম্ভব হয়।

এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ঢামেকে ডিউটিরত কারারক্ষী জাকারিয়া জানান, ডাণ্ডাবেড়িতে কোনো চাবির ব্যবস্থা নেই। এভাবেই লাগানো হয় এটি। মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর কয়েদির পা থেকে এখন কেন ডাণ্ডাবেড়ি খোলা হচ্ছে, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘যখন খবর পেয়েছি, তখনই ছুটে এসেছি।’

ডাণ্ডাবেড়ি খুলতে এত সময় কেন লাগল, জানতে চাইলে জাকারিয়া বলেন, ‘মাহফুজুর মারা যাওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। ফলে তার শরীর শক্ত হয়ে যাওয়ায় পা বাঁকানো যাচ্ছিল না।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন

ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন

  • জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • মিরপুরে অজ্ঞান পার্টির কবলে কিশোর, খোয়ালো অটোরিকশা
  • নয়াপল্টনে র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আটক ১
  • গার্ডরুমে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • বায়ু দূষণ: শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া