রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

যে কারণে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামো অনুমোদনের পর থেকেই জোরালো আন্দোলনে নেমেছেন দেশের ৩৭টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের অভিযোগ নতুন বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন ও অমর্যাদা করা হয়েছে, বিলুপ্ত করা হয়েছে সিনিয়র অধ্যাপকের পদ। নতুন বেতন কাঠামোর গ্রেড পুনঃনির্ধারণ, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রণয়নসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। দাবি মেনে না নিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘নতুন বেতন কাঠামোতে সিনিয়র অধ্যাপকের পদ অবলুপ্ত করা হয়েছে। শিক্ষকদের গ্রেড-১-এ যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। এতে শিক্ষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি শিক্ষকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হামলা। যা শিক্ষকদের জন্য অমর্যাদাকর।’

চার দফা দাবিতে ফেডারেশনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একযোগে কর্মবিরতি পালন ও প্রতিবাদ র‌্যালি করেছেন। এদিন সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। সমাবেশ থেকে আসন্ন স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ারও হুমকি দেয়া হয়েছে। এদিকে অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রতিবাদ র‌্যালি করেছেন শিক্ষকরা।এরই মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

আর বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময় অযাচিত, বিরূপ ও হাস্যকর মন্তব্য করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। অতীতে তিনি স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং এখনো তার স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি বিধায় তিনি এ রকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের অবস্থান গ্রেড ১-এ হলেও নতুন বেতন কাঠামোতে তা অবনমন হয়েছে। ঘোষিত বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চার দফা দাবির কোনোটিই গ্রহণ করা হয়নি। অর্থমন্ত্রীর মন্তব্য বাংলাদেশের শিক্ষা পরিবারের প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি সদস্যের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এমতাবস্থায় আমরা অর্থমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানাই। অন্যথায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে।

শিক্ষকদের ক্ষমা চাওয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন,‘আমার বক্তব্যে যারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন বা দুঃখ পেয়েছেন তাদের কাছে বিনীত অনুরোধ- ভুল বোঝাবুঝির এখানেই সমাপ্তি হোক।’

তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত আমার বক্তব্য অনভিপ্রেত ছিল এবং আমি তা প্রত্যাহার করছি।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নতুন পে-স্কেল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছেন। তাদের কর্মবিরতির কোনো যুক্তি নেই। তারা জানেনই না যে নতুন বেতন কাঠামোতে তাদের জন্য কী আছে, কী নেই।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার জানা নেই, কোথায় তাদের মর্যাদার হানি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের করাপ্ট প্র্যাকটিস নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। প্রত্যেকেই এখানে সহজেই অধ্যাপক হয়ে যান। সহযোগী অধ্যাপকদের তারা খেয়াল খুশিমতো পদোন্নতি দেন। দেখা গেছে নিচে ১০ জন প্রভাষক, কিন্তু ওপরে এক হাজার অধ্যাপক। এটা কিছু হলো? শুধু ওপরে পদোন্নতি হবে, এটা ঠিক না।’

বিষয়টি মন্ত্রিসভা কমিটিকে জানানো হবে —এমনটা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, ‘আমলাতন্ত্রকে আমরা যেভাবে ম্যানেজ (পরিচালনা) করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফদেরও সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সমাবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে তাদের। এছাড়া ১৭ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

তবে কঠিন কোনো আন্দোলনে না গিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায় বলে জানিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী। তিনি প্রিয়.কম-কে বলেন, ‘অষ্টম বেতন কাঠামো তো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা করতে হবে। শিক্ষকদের উচিৎ শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে শক্ত কোনো আন্দোলনে না গিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের সম্মান করেন। তার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির ব্যাপারে নিশ্চয়ই তিনি গুরুত্ব দিবেন।’

উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন কাঠামোয় বেসামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সচিব, সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে মেজর জেনারেল এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক সর্বোচ্চ গ্রেডে (গ্রেড-১) ছিলেন। আর জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা গ্রেড-২ এবং অধ্যাপকরা গ্রেড-৩-এ বেতন পেয়ে আসছিলেন। অষ্টম বেতন কাঠামোয় অধ্যাপক ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের অবস্থান ঠিক থাকলেও সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপকদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি, যা নিয়ে শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন

সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন

১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার

এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন

  • বিশ্ব অর্থনীতির তালিকায় জাপানকে ছাড়িয়ে গেল রাশিয়া
  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে এডিপি বাস্তবায়ন শতভাগ
  • এডিবি ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে সামাজিক নিরাপত্তায়  
  • ত্রিভুজ ক্ষমতাকাঠামোর অধীনে প্রণীত ত্রিশঙ্কু বাজেট
  • ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর নিলাম মঙ্গলবার
  • নিজ ভূমি অধিকার সুনিশ্চিত করলে তা জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়ক হয় : ভূমিমন্ত্রী
  • বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে: অর্থমন্ত্রী
  • এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ
  • ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি গ্ৰহনে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর সুযোগ রয়েছে’
  • বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল
  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • দেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলার