শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসকের প্রায় দু’মাসের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া একটি শিশু।
শিশুটির বয়েস তেষট্টি দিন।
এই হাসপাতালেই জন্ম হয়েছে তার।
সে ছিল ফুটফুটে একটি কন্যা শিশু।
হাসপাতাল কর্মীরা জানাচ্ছেন, জন্মের পরই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। আর তাকে ওই অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় তার বাবা মা।
পরে শিশুটির দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়।
দুপুরে এই প্রতিবেদক হাসপাতালে শিশুটি দেখতে যান।
তখনো বেঁচে ছিল শিশুটি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রফেসর কানিজ হাসিনা শিউলি তখন জানান, শিশুটির অবস্থা আজ কিছুটা সঙ্কটাপন্ন।
এর কিছুক্ষণ পরই এই প্রতিবেদকের সামনেই শিশুটি মারা যায়।
গত সাতান্ন দিন ধরে শিশুটি প্রফেসর শিউলির তত্ত্বাবধানে ছিল।
তিনি ও তার সহকর্মীরা শিশুটিকে সারিয়ে তোলার প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন।
শিশুটি মারা যাওয়ার পর হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে তৈরি হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
দায়িত্বরত চিকিৎসকদেরও এসময় চোখের পানি ফেলতে দেখা যায়।
হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ওসমান গনি জানান, শিশুটিকে তার বাবা মা ফেলে যাওয়ার পর ডাক্তারদের পাশাপাশি তিনিও তাকে সন্তান স্নেহে দেখভাল করছিলেন।
শিশুটির বাবা-মা হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে যে ঠিকানা উল্লেখ করেছিল, সেখানে গিয়ে তাদের খুঁজেছেন মি. গনি, কিন্তু তাদের সেখানে পাওয়া যায়নি।
রেজিস্ট্রারে শিশুটির মায়ের নাম উল্লেখ ছিল আসমা। সেই অনুযায়ী তাকে ডাকা হচ্ছিল ‘বেবি অব আসমা’ নামে।
মি. গনি আরো জানান, তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন করেছিলেন, যাতে শিশুটি সুস্থ হলে তাকে দত্তক দেয়া হয়।
তিনি এই শিশুটির নাম রেখেছিলেন নুসরাত ফাহমিদা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
আমাদের কন্ঠস্বর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের হত্যারবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানী ঢাকায় এক দিনে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন