রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

শুধুমাত্র কুমারীত্বের যন্ত্রণাদায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই চাকুরী মিলে যেখানে !

একবার চোখ বুলিয়েই নিন, দৃশ্যমান আধুনিক এই শহরে!

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ঘটছে এমন ব্যতিক্রমি ঘটনা। সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সেখানে কোন মেয়ে যদি শিক্ষকতা সহ নানা পেশায় যুক্ত হতে চান, তাহলে ডাক্তারি সার্টিফিকেটের মাধ্যমে তাকে আগে প্রমাণ করতে হয় যে, তিনি সক্রিয় যৌন জীবন-যাপন করছেন না। এই সার্টিফিকেট পেতে হলে মেয়েদের সরকারের দ্বারা স্বীকৃত কোন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতে হয়। সাধারণত ডাক্তারি পরীক্ষায় প্যাপ স্মেয়ার টেস্টের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থী মেয়েদের পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার সময়ে স্পেকুলাম নামক যন্ত্রের মাধ্যমে যোনিমুখকে বিবর্ধিত করে জরায়ুমুখ থেকে কোষের ক্ষুদ্র অংশ পরীক্ষার জন্য কেটে নেওয়া হয়। ফলে এই পরীক্ষা মেয়েদের জন্য শুধু যে অবমাননাকর তা নয়, শারীরিকভাবেও যন্ত্রণাদায়ক।

এমন আশ্চর্য আইন বাস্তবায়ন করার পর অবশ্য বিশ্বজুড়ে রীতিমত প্রবল সমালোচনার মুখেই পড়েছে তারা। কিন্তু সমালোচনা যাই হোক না কেন, এমন নিয়মকে ‘প্রয়োজন’ উল্লেখ করেই সাফাই গেয়েছেন খোদ দেশটির সরকার পর্যন্ত !

উল্লেখ্য যে, নারী অবমাননাকর এমন ঘটনা যে সে দেশে আজকের সময়ে নতুন করে ঘটছে তাও কিন্তু নয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে হাফিংটন পোস্টে ‘Brazil’s Appalling ‘Virginity Test’ For Women Sparks Outrage’ শিরোনামে প্রকাশিত সে দেশের এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে সাড়া পড়েছিলো বিশ্বজুড়ে। সে সময় নিন্দার ঝড় উঠেছিলো নারী সংগঠনগুলোতেও। এরপর চিরাচরিত নিয়মেই সব চুপ হয়ে যায় সময়ের স্রোতে। হয়তো ভুলেই গিয়েছিলো অনেকেই।

সে ঘটনার পর সবাই থেমে গেলেও স্থানীয় নিয়মে কিন্তু ঠিকই চলে আসছে বিতর্কিত ”কুমারী পরীক্ষা”।

এ দফায় এরকম পরীক্ষার পর নারীদের চাকুরী দেবার ব্যাপারটিকে ‘ভয়ানক অবমাননাকর’ দাবী করে ফের সরব হয়েছেন নারী অধিকার রক্ষা কর্মীরা। চাকরির জন্য পালনীয় এই অদ্ভুত রীতিকে ‘মধ্যযুগীয়’ বলে দাবি করে এটিকে বন্ধ করার জন্য সরব হয়েছে ব্রাজিলের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

কিছুটা বিপাকে পড়ে সরকার অবশ্য এবারে বিবৃতি প্রকাশ করে সাফাই দিয়েছে , ‘এই পরীক্ষা মোটেই কোনো বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। কোনো মেয়ে চাইলে এই পরীক্ষাকে এড়িয়ে যেতে পারেন।’

তবে সরকারের এই ‘সাফাইয়ের বিরোধিতা করে অধিকার বাস্তবায়ন কর্মিরা বলছেন, বাধ্যতামূলক’ যদি নাও হয়, ‘ঐচ্ছিক’ বিষয় হিসেবেই বা এমন অবমাননাকর একটি পরীক্ষা কেন চালু থাকবে এই একবিংশ শতকে ? সেই প্রশ্নই তুলছেন ব্রাজিলের মুক্তমনা মানুষেরা।

বিতর্কিত এই ব্যাপারে দেশটির সরকারের পক্ষে প্রশাসনের দাবিমতে , ” এই পরীক্ষার মাধ্যমে আসলে যাচাই করে দেখা হয়, যিনি শিক্ষকতার কাজে যুক্ত হচ্ছেন, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ কী-না। তিনি অন্তত ২০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে এই চাকরি করে যেতে পারবেন কিনা। তিনি নিয়মিত স্কুলে বা কলেজে উপস্থিত থাকতে পারবেন কী-না। যদিও মানবতাবাদী এবং নারীবাদী সংগঠনগুলি এই যুক্তি মানতে একেবারে নারাজ। তাদের বক্তব্য, এই পরীক্ষা একটি মেয়ের স্বাধীনতা ও সম্মানে সরাসরি হস্তক্ষেপ।”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ