১০ টাকা কেজি চাল বিতরণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দরিদ্রদের জন্য দশ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। যদি কেউ তালিকা নিয়ে অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, `প্রতি ৫০০ জনের জন্য একজন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। ডিলার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা হতদরিদ্রদের তালিকা করে সেই অনুযায়ী চাল বিতরণ করবে। এই তালিকা প্রস্তুতকালে কোনো গড়মিল বা অনিয়ম যেন না থাকে সংসদ সদস্যরা সেই তালিকা পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবেন। সরকারি কর্মকর্তারাও যেন পরীক্ষা করে দেখেন। যদি কেউ তালিকায় অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের প্রয়োজন তাদের নাম না থেকে যদি স্বচ্ছল কারও নাম থাকে তাহলে ঐ স্বচ্ছলদের নাম বাতিল হবে এবং অস্বচ্ছলদের নাম দেওয়া হবে।`
এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইস্রাফিল আলমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ কর্মসূচি দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত আছে। ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন হতদরিদ্রদের মাঝে স্বল্প মূল্যে ও বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করে যাই। ১৯৯৮ সালের বন্যার পর ২০ কেজি করে চাল বিনামূল্যে ৫৫ লাখ মানুষের মাঝে ৯ মাস বিতরণ করেছি। তাই যতদিন প্রয়োজন ১০ টাকা মূল্যের এই চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যহত রাখব। যদিও অদূর ভবিষতে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ায় এই কর্মসূচি লাগবে না, তবে যারা শারীরিকভাবে অক্ষম, বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী তাদের মাঝে এই বিতরণ অব্যাহত রাখবো।’
রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হকের তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে স্বল্পমূল্যে মহানগর, বিভাগ, জেলা পর্যায়ে ওএমএস খাতে আটা বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে সারাদেশে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে গ্রামীণ জনপদের অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি কেজি ১০ টাকা করে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে কার্ড প্রদান করে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ-এপ্রিল এই ৫ মাস ৩০ কেজি (প্রতি মাসে) করে চাল বিক্রির কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচি দীর্ঘ মেয়াদে চলবে। এতে দেশের আড়াই থেকে তিন কোটি লোক উপকৃত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে আর কেউ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। এ কর্মসূচির নাম হচ্ছে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ এবং স্লোগান হচ্ছে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’ এ কর্মসূচি আমার বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম কার্যক্রম।’
এর আগে বুধবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
দেশে রোলস রয়েস ১২টি, ছয় মাসে এসেছে আটটি
বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত গাড়ি বলা হয় রোলস রয়েসকে। তবে একটাবিস্তারিত পড়ুন
শফিকুল আলম: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংখ্যালঘু ইস্যু অন্যায্যভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুবিস্তারিত পড়ুন
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলো হিন্দু, বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ছাত্র যুব ফ্রন্ট
ভারতের বিরুদ্ধে সনাতন ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও ধর্মীয়বিস্তারিত পড়ুন