৩৯ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধোঁকাবাজি

কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কাম্পাস আশুলিয়ায়। কোনোটির সাভার বা গাজীপুরে। কিন্তু ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ধানমণ্ডি, কারওয়ান বাজার বা বনানী এলাকার ভাড়াবাড়িতে। বছরের পর বছর ধরে চলছে এমন কার্যক্রম। অন্যত্র স্থায়ী ক্যাম্পাস দেখিয়ে ঢাকায় আউটার ক্যাম্পাসের নামে ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই চালাচ্ছে এমন ধোঁকাবাজি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বলা আছে, যাত্রা শুরুর সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসেই শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। সেই শর্ত পূরণ করতে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গ্রামের ভেতরে জায়গা কিনে একটি ভবন করে রেখেছে। আবার কেউ কেউ বলছে, জায়গা কিনেছি নির্মাণকাজ চলছে। তবে ওই সব জায়গায় যাওয়ার তেমন রাস্তা নেই, থাকার জন্য নেই হোস্টেল বা ডরমেটরি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও জানে, ওখানে ক্যাম্পাস গেলে তারা শিক্ষার্থী পাবে না। তার পরও এমন জায়গায়ই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস করছে। শুধু নিয়ম রক্ষার্থেই এই ধোঁকাবাজির আশ্রয় নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই আবার রাজধানীতে অ্যানেক্স বা সংযুক্তের নামে চালাচ্ছে একাধিক আউটার ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাত বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও বারবারই সময় বাড়িয়ে চলেছে। অভিযোগ রয়েছে, আপসরফার মাধ্যমেই তাদের ছাড় দিচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কিছু কর্মকর্তা।
ইউজিসি সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের মধ্যে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেয়েছে তাদের ইতিমধ্যেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যাওয়ার কথা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সময়ের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫১টি। এদের মধ্যে ১২টি পুরোপুরিভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২০০৯ সালের পর অনুমোদন পেয়ে আরো তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে। আর নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। তারা দূরদূরান্তে কোথাও জায়গা কিনে তা দেখিয়েই দিব্যি পার পেয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ পাস হওয়ার পর সর্বপ্রথম ২০১২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ক্যম্পাসে যাওয়ার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালে, তৃতীয় দফায় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এবং চতুর্থ দফায় ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রামে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কমপক্ষে এক একর, অন্যান্য স্থানের জন্য দুই একর অখণ্ড জমি থাকার বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিন (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী জানুয়ারির মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের অন্তর্বর্তীকালীন স্ট্যাটাস আমরা ইউজিসির কাছে চেয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় তো আর দোকান নয় যে শাটডাউন করে দিব। তবে এবার আমরা ভর্তি টোটালি বন্ধ করে দিব। আর যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্তের নামে একাধিক ক্যাম্পাস চালাচ্ছে সেগুলোও আউটার ক্যাম্পাস। একাধিক আউটার ক্যাম্পাস থাকলে সবই অবৈধ। এগুলোর তালিকা তৈরির কাজও আমরা করছি। এরপর এই তালিকা পুলিশের কাছে হ্যান্ডওভার করা হবে, যাতে তারা সেগুলো বন্ধ করে দেয়।’
জানা যায়, বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৫টি। এর মধ্যে ৩৯টির স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতার সময় আগামী জানুয়ারি। ফলে তাদের হাতে আর পাঁচ মাস সময় রয়েছে। কিন্তু গত বছরের জুনে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় বৃদ্ধির পর তারা ইউজিসিকে আর কোনো তথ্য দেয়নি। এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে যাদের প্রতিষ্ঠার পর ২০ বছর পার হয়ে গেলেও তারা এখনো স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও নির্ধারিত সময়ে ৩৯টির মধ্যে পাঁচটির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানা গেছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কেউ আউটার ক্যাম্পাস চালাতে পারবে না। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়ে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। এ ছাড়া যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী জানুয়ারির মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা তাদের অন্তর্বর্তীকালীন স্ট্যাটাসও আমরা সংগ্রহ শুরু করেছি। শিগগিরই তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।’
রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া এসব প্রতিষ্ঠান অ্যানেক্স ও সংযুক্ত ক্যাম্পাসের নামে তাদের ক্যাম্পাসের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। যেহেতু আউটার ক্যাম্পাস নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাই বিকল্প পন্থায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বাড়াচ্ছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি ফ্যাকাল্টি থাকলে দুই এলাকায় আলাদা বাড়িভাড়া করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সব ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। এমনকি চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলোও সব ক্যাম্পাসে পড়ানো হচ্ছে। অথচ ইউজিসিকে বলা হচ্ছে, তাদের আউটার ক্যাম্পাস নেই। তাদের দাবি, একটি বিল্ডিংয়ে জায়গা না হওয়ায় আলাদা বিল্ডিংয়ে অন্য ফ্যাকাল্টির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এটা সংযুক্ত ক্যাম্পাস।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পাঁচ-সাত বছরে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়াটা মুশকিল। আর আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গাও মর্টগেজ রাখার সুযোগ নেই। তবে সরকার যদি তাদের নির্ধারিত রেটে আমাদের জন্য জায়গা দিত তাহলে দ্রুতই স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া সহজ হতো। এ ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই আইন মেনে চলতে হবে, যা আমরা সব সময়ই বলে আসছি।’
আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের মতো মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিও চালাচ্ছে সংযুক্ত ক্যাম্পাস। তাদের গুলশানে মূল ক্যাম্পাস। এখানে ইংরেজি ও ব্যবসায় শিক্ষা পড়ানো হয়। অথচ মিরপুরে তাদের সায়েন্স ফ্যাকাল্টি। এই দুই ক্যাম্পাসকেই তারা সংযুক্ত হিসেবে দেখাচ্ছে। অথচ দুই জায়গায়ই ভর্তি কার্যক্রম চলে। উপাচার্যসহ অন্যরা বসেন গুলশান ক্যাম্পাসে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক তিন নারী জঙ্গি ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ফার্মেসি বিভাগের। তাঁরা মিরপুর ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করতেন।
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ঠিকানা উত্তরায় হলেও এটা মূলত আশুলিয়ার কাছাকাছি। সেখানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই তারা বনানীসহ আরো কয়েকটি স্থানে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির রয়েছে একাধিক সংযুক্ত ক্যাম্পাস। ভাড়াবাড়িতে তারা সংযুক্তের নামে একাধিক ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। সিটি বিশ্ববিদ্যালয় সাভারের বিরুলিয়ার খাগানে নিজস্ব ক্যাম্পাস করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখনো তারা রাজধানীর পান্থপথে ভাড়া করা বাড়িতে ‘সিটি ক্যাম্পাস’ চালাচ্ছে। নর্দান ইউনিভার্সিটির মূল ক্যাম্পাস বনানীতে হলেও তাদের আরেকটি ক্যাম্পাস চলছে কারওয়ান বাজারের কাছে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে। অথচ তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ চলছে গাজীপুরের কাশিমপুরে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মূল ক্যাম্পাস উত্তরায়। তারা আগে একাধিক ক্যাম্পাস পরিচালনা করত। এখনো উত্তরার পাশাপাশি তারা মতিঝিল ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক ক্যাম্পাস পরিচালনার অভিযোগ। ইউজিসির সর্বশেষ তথ্যেও এখনো ৬৪টি আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এর মধ্যে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামে দুটি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে পাঁচটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাতটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগং ঢাকায় একটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন স্থানে ১৬টি, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ রাজশাহীতে একটি, কুইন্স ইউনিভার্সিটি রাজশাহীতে একটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস চট্টগ্রামে একটি আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। এ ছাড়া এদের সবারই একাধিক সংযুক্ত ক্যাম্পাস রয়েছে। ইউজিসির এই তালিকার বাইরেও আরো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।
ইউজিসির তথ্যে বর্তমানে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এগুলো হচ্ছে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি। কিন্তু বাস্তবে আরো একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের দ্বন্দ্ব।
ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুই গ্রুপ ধানমণ্ডি ও উত্তরায় দুটি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। তবে তাদের বিষয়ে গত ২৭ জুন ইউজিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ইউজিসির সুপারিশের ভিত্তিতে মূল ক্যাম্পাসের অনুমোদন প্রদান করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ক্ষেত্রে ইউজিসি কর্তৃক বাড়ি নম্বর-২১/এ, সড়ক নম্বর-১৬ (পুরনো-২৭), ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৯ ঠিকানায় অবস্থিত ক্যাম্পাসকে অস্থায়ীভাবে সাময়িক অনুমোদন দেওয়া যথাযথ হয়নি।’
এই ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা প্রফেসর জাকারিয়া লিংকন বলেন, ‘২০০২ সালে আমাকে বাড়ি নম্বর-৫, সড়ক নম্বর-১০ (পুরনো-২৭), ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৯ ঠিকানায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন ও পরিচালনায় সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরেকজন ট্রাস্টি ধানমণ্ডির ১৬ নম্বর সড়কে অননুমোদিত একটি ক্যাম্পাস চালু করে কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁদের অধীন একাধিক শাখা ক্যাম্পাসও চলে। এ নিয়ে আমি হাইকোর্টে মামলাও করেছি। অথচ এর পরও ইউজিসি তাদেরই সাময়িক অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু এখন যেহেতু ইউজিসি তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে, তাই আমার দাবি বৈধ ক্যাম্পাসই রাখা হোক।’
নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়া ১৫ বিশ্ববিদ্যালয় : নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড টেকনোলজি, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, আহ্ছানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি (শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, গণবিশ্ববিদ্যালয়, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি (শাখা ক্যাম্পাস রয়েছে), জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শরীয়তপুর, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় সিরাজগঞ্জ ও নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।
স্থায়ী সনদ চারটির : বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২২ বছর আগে চালু হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী সনদ পেয়েছে। এগুলো হলো আহ্ছানউল্লাহ্ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি।
নির্ধারিত জমিতে আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম : সিটি ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউল্যাব, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউআইটিএস, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এর মধ্যে রাজধানীতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটিগুলো কাগজে-কলমে নির্ধারিত জমিতে আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কথা বললেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। শুধু ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি তাদের সাভার ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের এক সেমিস্টার পড়ালেখা করায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু কার্যক্রম হয়। এর বাইরে অন্যরা বছরে নিজস্ব ক্যাম্পাসে এক-দুটি অনুষ্ঠান করেই আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ফাউন্ডেশনের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় : আইনানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি থাকার কথা থাকলেও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ফাউন্ডেশনের নামে জমি কিনেছে। এগুলো হলো সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়।
নির্ধারিতের চেয়ে কম জমি : নির্ধারিত জমির চেয়ে কম জমিতে ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এগুলো হলো—প্রাইম ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা : আরো বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের ক্যাম্পাস নির্মাণাধীন বলে ইউজিসিকে তথ্য দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে স্টেট ইউনিভার্সিটি, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইউআইটিএস, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, আশা ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

শেকৃবির ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “আওয়ামীপন্থি” ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তবিস্তারিত পড়ুন

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরতবিস্তারিত পড়ুন

এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন