অণ্ডকোষে মাঝে মাঝে ব্যাথা করে ও প্রস্রাবের সাথে ধাতু বের হয়, কি করা উচিৎ?
প্রশ্নঃ আমার বয়স ২৮। আমার ডান পাশের অন্ডকোষে মাঝে মাঝে ব্যাথা করে, আবার একাই চলে যায়। কি করবো? আমি নতুন বিয়ে করেছি। বিয়ের পর আমার স্ত্রীর সাথে দুই দিন থেকে চলে আসি। এখন কথা হল প্রথম দিন আদর করা অবস্থায় আমার বীর্যপাত হয়ে যায়,১০ মিনিট পর আবার করতে গেলে আবার বীর্যপাত হয়। পরেরদিন ঠিক একি ঘটনা ঘটে।
আর পেনিস যথেষ্ট শক্ত হওয়ার পরেও ঢুকাতে পারিনি। এখানে উল্লেখ্য যে আমি জীবনে কোন দিন সেক্স করি নি। আমি আগে প্রচুর হস্তমৈথুন করতাম; এমনকি দিনে দুই তিন বারও করতাম। হস্তমৈথুন ছেড়ে দিয়েছি প্রায় ছয় বছর হল। খুব টেনশনে আছি। এখন আমার কি করা উচিত? টয়লেট করার সময় প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভাতের মারের মত ধাতু বের হয়।
উঃ “প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভাতের মারের মত ধাতু বের হয়!” কিভাবে বুঝলেন যে ওই ঘোলাটে পদার্থ ধাতু? প্রস্রাবের রঙ ও গন্ধে কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে অবিলম্বে ইউরোলজিস্ট দেখানি উচিৎ। ঘোলাটে বর্ণের প্রস্রাব গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। যেমন মূত্রনালীতে সংক্রমণ, মূত্রথলীতে পাথর, অতিরিক্ত ইউরিক এসিড, কিডনীর সমস্যা, যৌনরোগ ইত্যাদি।
এমনকি প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হলেও সেটা কেন হচ্ছে তার কারণ খুঁজে দেখা দরকার। এর একটি গুরুতর কারণ রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন। এক্ষেত্রে অর্গ্যাজমের সময় বীর্য লিঙ্গের মাধ্যমে নির্গমণের পরিবর্তে মূত্রথলীতে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে প্রস্রাবের সময় মূত্রের সাথে বেরিয়ে আসে। সাধারণত মূত্রথলীর স্ফিংটার পেশী অর্গ্যাজমের সময় সংকুচিত হয়ে বীর্যকে মূত্রথলীতে প্রবেশ করতে দেয় না।
কিন্তু যদি ওই স্ফিংটার পেশী ঠিকমত কাজ না করে তবে বীর্য মূত্রথলীতে ঢুকে যায়। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসায় এর নিরাময় সম্ভব। প্রস্রাবের সময় বীর্য বের হবার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হল প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা।
বীর্যের কিছু পরিমাণ রস এই গ্রন্থিতে তৈরী হয়। প্রস্টেট গ্রন্থিতে সমস্যা হলে মূত্রত্যাগের সময় এই গ্রন্থি হতে ক্ষরিত রস মূত্রের সাথে মিশে যেতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় পূর্ববর্তী বীর্যপাতের সময়কার স্বল্প বীর্য মূত্রনালীতে আটকে থাকতে পারে, যা পরবর্তিতে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে আসে।
আপনার ডানপাশের অণ্ডকোষেও মাঝে মাঝে ব্যাথা করে। কিডনী স্টোন, অণ্ডকোষে সংক্রমণ, হাইড্রোসিল, হার্ণিয়া, অণ্ডকোষে ক্যানসার, অণ্ডকোষে রস জমা (Spermatocele), মূত্রনালীতে সংক্রমণ, অণ্ডকোষ মুচড়ে যাওয়া ইত্যাদি নানাবিধ কারণে অণ্ডকোষে মাঝে মাঝে ব্যাথা করতে পারে। তার সাথে ভাতের মারের মত প্রস্রাব। এই দুটি লক্ষণ উপেক্ষা না করে শীঘ্র ইউরোলজিস্ট দেখান। আপনার প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হতে পারে।
নতুন বিয়ের পর (বা নতুন কোন নারীর সাথে) প্রথম প্রথম সঙ্গমের সময় দ্রুত বীর্যপাত খুবই সাধারন (Common) ব্যাপার। অত্যধিক উত্তেজনার ফলেই অমন হয়। অনেকেরই ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটে। ওটা নিয়ে বেশি ভাবার প্রয়োজন নেই। কয়েকদিন সঙ্গম করলেই কিভাবে বীর্যপাত বিলম্বিত করতে হয় সেটা শিখে যাবেন। আদর করার সময় দুবার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে গেলেও হতাশ না হয়ে তৃতীয়বার আবার চেষ্টা করুন। আপনি লিখেছেন যে পুরুষাঙ্গ যথেষ্ট শক্ত হওয়া সত্ত্বেও ঢোকাতে পারেননি।
এবারে যখন স্ত্রীর সাথে মিলিত হবেন তখন ঢোকানোর আগে ভাল করে foreplay করে নেবেন। অতঃপর স্ত্রীর যোনি থেকে যৌন উত্তেজনার ফলে পিচ্ছিল রস বের হওয়ার পরই ঢোকানোর চেষ্টা করবেন। প্রথমে একটি আঙুল স্ত্রীর যোনিতে প্রবেশ করিয়ে স্ত্রীকে একটু আনন্দ দিন। তারপর আপনার পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন