অতিরিক্ত ফি ফেরত না দেওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ফিরলেই অ্যাকশন
নির্দেশ দেওয়ার পরও অতিরিক্ত টিউশন ফি ও এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত না দেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশে ফিরলেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্যকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কারিগরি শিক্ষা সহযোগিতা আলোচনায় অংশ নিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে যান শিক্ষামন্ত্রী, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
চলমান এসএসসি পরীক্ষার জন্য, গত বছর ফরম পূরণ এবং চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ও অন্যান্য টিউশন ফি’র ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগের পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত কর্মদিবসের মধ্যে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়। অর্থ ফেরত দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোকে জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই সাত কর্মদিবস পূর্ণ হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) চৌধুরী মুফাদ আহমেদ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বলেন, অতিরিক্ত ফি গ্রহণের বিষয়ে বিভিন্ন বোর্ড থেকে তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসেছে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।
যাচাই-বাছাই করে দেখে তিন ধরনের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যারা অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ফেরত দিয়েছে, ফেরত দেয়নি এবং নিয়েও অস্বীকার করেছে- এই তিন তালিকা নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষামন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আসার পর সিদ্ধান্ত নেবো।
ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্দেশনার বাইরে মাসিক বেতন ও অন্যান্য ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি এক আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বর্ধিত বেতন ও অন্যান্য ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয়।
অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও যারা ফেরত দেয়নি কিংবা অস্বীকার করেছে তাদের তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বাতিল বা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করা হতে পারে। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষাবিদদের নিয়ে এক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, যৌক্তিক কারণ থাকলে পুর্নবিবেচনা করা হবে।
এদিকে গত বছরে এসএসসি’র ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে এমন ৮৫৫টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিয়েছে।
বোর্ডের নিয়ামানুযায়ী, ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে এক হাজার ৪৫৫ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা বিভাগে এক হাজার ৩৫৫ টাকা করে নেওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো তার তিন থেকে চার গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছে বলে তালিকা পর্যালোচনা করে জানা গেছে।
এদিকে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অতিরিক্ত টিউশন ফি সমন্বয় করবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে জানিয়েছে।
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণা ও বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে টিউশন ফি বাড়িয়ে দিয়েছিলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন