অনুদান নিয়ে প্রতারণা, ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে নালিশ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর ছাত্রদলের নিহত সাধারণ সম্পাদক ইবনে আজাদ কমলের পরিবারকে প্রায় এক বছর তিন মাস আগে তিন লাখ টাকা অনুদানের চেক দেওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত অনুদানের পুরো টাকা পায়নি কমলের পরিবার।
এ ঘটনায় কমলের বাবা আবুল কালাম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে লিখিত নালিশ করেছেন। এতে খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান মো. আবুল কালাম।
আবুল কালাম জানান, ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তাঁর ছেলে কমল সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন। পরের দিন ৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গফরগাঁওয়ের ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন তিনি।
নিহত কমল ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে কমলের পরিবার এবং স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাদের ডেকে পাঠানো হয়। গফরগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি সিদ্দিকুর রহমানের সহায়তায় কমলের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের হাতে পাঁচ লাখ টাকার একটি স্থায়ী আমানতের চেক তুলে দেন খালেদা জিয়া। একই সময় খালেদা জিয়া ওই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য জেলা ছাত্রদলের নেতাদের পক্ষ থেকে আরো তিন লাখ টাকার অনুদানের আরেকটি চেক তুলে দেন পরিবারটির হাতে।
নিহত ছাত্রদল নেতার বাবা আবুল কালাম জানান, চেক পাওয়ার পরপর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুকনুজ্জামান রুকন টাকা কিছুদিন পরে দেওয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে চেকটি নিয়ে নেন। ১৫ দিন পর রুকন ও গফরগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহিবুর রহমান নাছিম তাঁদের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন। বাকি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এখনো দেননি। দীর্ঘদিন ঘুরেও ওই দুই নেতার কাছ থেকে টাকা পাওয়া যায়নি।
আবুল কালাম বলেন, ‘অনুদানের টাকা চাইলে রুকন নাছিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। নাছিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তোর ছেলের দাম এই টাকার চেয়ে বেশি হবে না।’ তাই বাধ্য হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুকনুজ্জামান রুকন প্রায় দুই ডজন মামলার হুঁলিয়া নিয়ে পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দৌলা সুজা বলেন, ‘অনুদান অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। জেলা ও উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নিহত কমলের পরিবারকে তিন লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। আমার জানা মতে, কমলের পরিবারকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। টাকা না থাকায় পরে বাকি টাকা পরিশোধ করা হয়নি।’
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাব আকন্দ বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছি। চেক ও অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে আমিও ছিলাম। ম্যাডামের কাছে নালিশ করার ঘটনাটি আমিও শুনেছি। দলের মৃত কর্মীর টাকা নিয়ে নেতাদের এ ধরনের কাজ নিন্দনীয়, গর্হিত ও অন্যায়।’
অনুদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ও অনুদান দেওয়া গফরগাঁও বিএনপির সভাপতি এ বি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কমলের পরিবারকে স্থায়ী আমানতের টাকা আমিই দিয়েছি। তিন লাখ টাকা বিতরণে ঘাপলার কারণে কমলের বাবা ম্যাডামের কাছে নালিশ করেছেন বলে জানি।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন