অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টাস্কফোর্স
অনুমোদনহীন বেসরকারিভাবে নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রম যাচাই করে এগুলোর করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে তিন ধরনের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করে বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে ।
টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনসহ সব ধরনের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি বা নিবন্ধন-সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারি উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং নিয়ম-বহির্ভূতভাবে এগুলো পরিচালিত হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায় এসব স্কুলে অবকাঠামোগত সুবিধা, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ভর্তি ফি নির্ধারণ, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে পাঠ্য বইয়ের আধিক্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ বাড়ছে।
নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০১১ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পরও অধিকাংশ নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডারগার্টেন সরকারের নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। দেশে কতগুলো কিন্ডারগার্টেন রয়েছে সে তথ্যও সরকারের কাছে নেই। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আশা করা হয়েছিল যে, জারিকৃত বিধিমালার আলোকে নার্সারি, প্রিপারেটরি বা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ও পরিচালিত হবে।
টাস্কফোর্সের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্কুল ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, শিক্ষার্থী ভির্তি ফি, ফি নির্ধারণ ও আদায়, ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াও প্রাসঙ্গিক অন্য তথ্যও পরীক্ষা করবে এসব টাস্কফোর্স। এর বাইরে টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে বিদ্যালয়ের পাঠদান, সহ-শিক্ষাক্রম, আর্থিক কর্মকাণ্ড, শ্রেণিভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক অন্তর্ভুক্তি যাচাই করতে বলা হয়েছে। বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্সগুলোকে আগামী এক মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিভাগীয় বা মহানগর এলাকার টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি করা হয়েছে বিভাগীয় কমিশনারকে। পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে এই টাস্কফোর্সের সদস্য এবং বিভাগীয় উপ-পরিচালককে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসককের নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সমাজসেবা উপ-পরিচালককে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।
উপজেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এর সদস্য। এই টাস্কফোর্সের সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। বিভাগীয় টাস্কফোর্স প্রয়োজনে জেলা বা উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতে পারবে। অনুরূপভাবে জেলা টাস্কফোর্সও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন