অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে দুই তরুন জঙ্গীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অসাধারন যে গল্প চমকে দেবে আপনাকেও !

নানা টানাপোড়েন আর পারিপার্শিকতায় জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে দুই তরুন জঙ্গীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অসাধারন এই গল্প অনুপ্রেরণার হতে পারে হাজারো বিপথগামী তরুন তরুনীর। জঙ্গী নিধনের পাশাপাশি জঙ্গী অপরাধীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সম্প্রতি দুই তরুন জঙ্গীর আত্মসম্পর্পন একটি মাইলফলক হতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
উত্তরাঞ্চলের নব্য জেএমবির দুইজন জঙ্গি সদস্য তাদের ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে র্যাব-১২ এর নিকট উপস্থিত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে র্যাব ।
গত ০৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে দুইজন আত্মসমপর্ণকারী জঙ্গি সদস্য হলো (১) মোঃ আব্দুল হাকিম (২২), পিতা-আব্দুর রহমান, সাং-কামারপাড়া, থানা-শাহজাহানপুর, জেলা-বগুড়া এবং (২) মাহামুদুল হাসান বিজয় (১৭), পিতা-মৃত সেকেন্দার আলী, সাং- হাটভরতখালী, থান-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধা।
র্যাব জানিয়েছে তারা বয়সে তরুণ। আব্দুল হাকিম আলিম পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেস্টায় আছে এবং মাহামুদুল হাসান বগুড়া পলিটেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউটে অধ্যায়নরত আছে। মোঃ আব্দুল হাকিম (২২), পিতা-আব্দুর রহমান, সাং-কামারপাড়া, থানা-শাজাহানপুর, জেলা-বগুড়া। সে ছোট বেলায় ব্র্যাক স্কুলে পড়াশুনা করে। এরপর কামারপাড়া সরকারি প্রাইমারী স্কুলে ৩য় শ্রেনীতে পড়ার পর কুষ্টিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ১ম শ্রেনীতে ভর্তি হয়। সেখানে ২ বছর পড়াশুনার পর সে ভিহি গ্রাম এডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে ২০১৩ সালে দাখিল পাশ করে।
পরবর্তীতে এই মাদ্রাসা হতে ২০১৫ সালে আলিম পাশ করে। হলি আর্টিজান হামলার জঙ্গি খায়রুল ইসলাম পায়েলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহচর ছিল। উল্লেখ্য যে, খায়রুল হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত ০৫ জন জঙ্গির মধ্যে একজন। খায়রুল ও হাকিম ৫ম শ্রেনী হতে দাখিল পর্যন্ত ভিহি গ্রাম এডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদ্রাসায় একই সাথে অধ্যায়ন করেছে। এই খায়রুলের প্ররোচণায় আজকের আত্মসমপর্ণকারী জঙ্গি আব্দুল হাকিম জঙ্গি কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত হয়।
জঙ্গি প্রশিক্ষণের দিক থেকে খায়রুল হাকিমের চেয়ে এগিয়ে ছিল। ফলে খায়রুল জঙ্গি হামলায় অংশগ্রহণ করে অন্যদিকে হাকিম জঙ্গি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিল। হাকিমকে মিরপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় প্রশিক্ষণের জন্য খায়রুল ঢাকায় নিয়ে আসে সেখানে হাকিমের নিয়মিত ধর্মীয় উগ্রবাদের পুথিগত শিক্ষার পাশাপাশি অস্ত্র চালনা ও শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে।
জঙ্গি সংশ্লিষ্ট কাজে খায়রুলকে সে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে। ঐ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিয়মকানুন সম্পর্কে হাকিম জানায় যে, তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল জানলা দিয়ে বাহিরে কোন কাগজ ফেলবেনা, জানালার কাছে কখনও কেহ দাঁড়াবেনা এবং দরজা নক করলে কেহ খুলবেনা, নিদির্ষ্ট ব্যক্তিরা দরজা খুলে দিবে। তাদের প্রশিক্ষকদের রুমে প্রবেশ করা নিষেধ ছিল।
কিন্তু হাকিম কৌশলে কোন একদিন প্রশিক্ষকদের রুমে উঁকি দিয়ে দেখে যে, সেখানে রানা নামে একজন সহ আরো ৮/৯ জঙ্গি অবস্থান করছে। সেখানে রয়েছে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ফটোমেশিন ও নানা প্রকারের বই এবং নানাবিধ কেমিক্যাল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ছিল। প্রত্যেকদিন তিন বেলায় তিনজন প্রশিক্ষক বিভিন্ন দোয়া-দরুদ শিখানোসহ ইসলামের বিভিন্ন জিহাদ ও যুদ্ধের ব্যাপারে ক্লাশ নিতো। তার প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে হলি আর্টিজান-শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা হয়। সেই সময়কার হলি আর্টিজানে জঙ্গিদের হামলার নৃশংস ও বিভৎস দৃশ্য সে মেনে নিতে পারেনি।
এছাড়া সে সমগ্র দেশে হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া হামলার নেতিবাচক সমালোচনায় অনুশোচনাবোধ করে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাপক জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তখন থেকে দ্বিধা দ্বন্ধে ভূগতে থাকে। সে বুঝতে পারে যে, সে ভুল পথে রয়েছে। তখন সে সুযোগ বুঝে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে পলায়ন করে বাড়ি চলে আসে এবং পরিবারের সাথে খোলাখুলি আলাপ করলে পরিবার তাকে আত্মসমপর্ণে উৎসাহী করে র্যাবের কাছে নিয়ে আসে। আরেক জন জঙ্গি হলো মাহমুদুল হাসান বিজয়।
মাহমুদুল হাসান গ্রামের একটি সাধারন পরিবারের সদস্য। তার শিক্ষা জীবনের শুরুতে খন্ড খন্ডভাবে মূলধারা এবং মাদ্রাসা উভয়ে পড়াশুনা করেছিল। সে ২০১১ সালে ৮ম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে পুনরায় মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত হয় এবং উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়ন অবস্থায় প্রথমে ছাত্রশিবিরে অন্তর্ভূক্ত হয়। পরবর্তীতে সে মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানির ওয়াজ ও লিখিত বই অধ্যায়ন করে ধর্মীয় উগ্রবাদীতায় আকৃষ্ট হয়ে জঙ্গিদের সহচার্যে এসে জেএমবি’তে যোগদান করে। সে বোনারপাড়া, মহিমাগঞ্জ, সারিয়াকান্দি, বগুড়ায় জেএমবিদের বিভিন্ন সভায় যোগদান ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে এবং এছাড়া সে সংগঠনের অস্ত্র ক্রয়ের জন্য ইয়ানত সংগ্রহ করত।
আত্মসমর্পনকারী দুই জঙ্গীর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছে, ” প্রশিক্ষণে তাদেরকে ব্রেন ওয়াশ করে বুঝানো হয়েছে যে, এই জিহাদের মাধ্যমে সরাসরি জান্নাত লাভ করা সম্ভব। প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে শিয়া মুসলিম, খ্রিষ্টান নাগরিক ও হিন্দু পুরোহিতকে টার্গেট করে হত্যা বা সহযোগিতা করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। তাকে ‘থ্রিমা’ ও ‘ভিপিএন’ এ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে। তাকে অস্ত্র প্রশিক্ষণে যোগদানের জন্য ১০,০০০/-টাকা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে তাকে কয়েকবার প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু কখনও পরীক্ষা, অর্থাভাব ও পারিবারিক কারণে আসতে পারে নাই।”
সমগ্র দেশে জঙ্গিবাদ বিরোধী নেতিবাচক প্রচারণা ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন আত্মসমপর্ণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে সে ভীত সন্ত্রোস্ত হয়ে পড়ে। সে বুঝতে পারে আত্মগোপন কোন সমাধান নয়। এক পর্যায়ে তার কৃত কর্মের বিষয়টি পরিবারকে অবগত করলে পরিবার তাকে র্যাবের কাছে নিয়ে আসে। বিগত দুই মাস আগে র্যাব উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনামূলক কার্যক্রম চালানোর ফলে এই পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের আত্মসমর্পণে উৎসাহী করেছে।
উক্ত অভিযানে মহাপরিচালক র্যাব ফোর্সেস বলেছিলেন, কোন জঙ্গি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে র্যাবের পক্ষ হতে পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ লক্ষ্যে আজকে এই আত্মসমর্পণকারী প্রত্যেক জঙ্গিকে পূর্নবাসনের লক্ষ্যে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার চেক র্যাবের পক্ষ হতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিদের নিকট হস্তান্তর করেন।
র্যাব তাদের বার্তায় জানিয়েছে, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে বাঙ্গালী ঐতিহ্যে লালিত শান্তিপ্রিয় এই দেশে আবহমান কাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মের লোক সম্প্রীতির সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করে আসছে। অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালী জাতি ধর্ম নিরপেক্ষতার চেতনায় উদ্ভূদ্ধ হয়ে রক্তক্ষয়ী এক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অর্জন করে মহান স্বাধীনতা। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে চলেছে। তখন কতিপয় মৌলবাদী দুস্কৃতিকারী আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো ও দেশে-বিদেশে আমাদের সুনাম ক্ষুণ করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। উগ্রবাদী ও জঙ্গি গ্রুপের নামে কতিপয় সন্ত্রাসী অপরাধীরা ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে গুপ্তহত্যা, নিশানা করে খুন, দেশি-বিদেশী মানুষকে হত্যাসহ মসজিদ, মন্দির, হোটেল, ঈদগাহে এমনকি আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সাধারণ মানুষের উপরে আক্রমণ করে হত্যাকান্ড ঘটানোর ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ সর্বশেষ গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে বর্বচিত জঙ্গি হামলার মর্মস্পর্শী দৃশ্য অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ এধরণের নৃশংস জঙ্গি কর্মকান্ড মেনে নেয়নি। বাংলাদেশ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং সর্বসাধারণের সহায়তায় র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ঘৃণ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এলিট ফোর্স র্যাব দেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। র্যাবের তৎপরতার কারনেই সারাদেশে একযোগে যারা বোমা বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন সময়ে নাশকতা সৃষ্টি করেছিল সে সকল জঙ্গি সংগঠন সমূহের শীর্ষ সারির নেতা থেকে বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভবপর হয়।
আটককৃতদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, কেউ কেউ বিভিন্ন মেয়াদের কারাভোগ করেছে এবং বেশকিছু মামলা এখনো বিচারাধীন আছে। এছাড়াও কিছু সদস্য জামিনেও বের হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আত্মগোপন করে আছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মতৎপরতার ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলো সাংগঠনিকভাবে পূর্বের মতো নাশকতা সৃষ্টির সক্ষমতা না থাকলেও তাদের তৎপরতা কিন্তু একদম বন্ধ হয়ে যায় নাই। তবে র্যাবের কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযানের ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েও বার বার ব্যর্থ হয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়েছে। র্যাব প্রতিষ্ঠা হতে অদ্যাবধি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংঠন জেএমবি, হুজিবি, হিযবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং শহীদ হামজা ব্রিগেডসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ১২১৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
এর মধ্যে শুধুমাত্র জেএমবি সদস্য গ্রেফতার হয়েছে ৬৪৩ জন। সর্বমোট উদ্ধার করা হয়েছে ৪০৪টি গ্রেনেড/বম্ব/ককটেল, ১০৩টি বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র, ৫,০৮১ রাউন্ড গুলি, ১,৯৯১ কেজি বিস্ফোরক, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং জিহাদী বই।
এছাড়াও জঙ্গি সংগঠনে অর্থায়নের অভিযোগে তিনজন আইনজীবী এবং একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান হামলার পর হতে গত ২১ জুলাই ২০১৬ তারিখ জেএমবি’র দক্ষিণাঞ্চলের আমীর মোঃ মাহমুদুল হাসান তানভীর (২৭) সহ ০৪ জন জঙ্গিকে টঙ্গী হতে, ০৩ আগস্ট ২০১৬ তারিখ আল আনসার এর সমন্বয়কারী মোঃ রাশিদুল আলমসহ হুজির ০৫ সদস্যকে হাজারীবাগ হতে, ১০ আগস্ট ২০১৬ তারিখ জেএমবি পরিচালিত আত-তামকীন জঙ্গি সাইটের এ্যাডমিন ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান সিফাত(২৭)সহ ০৬ জনকে মিরপুর হতে, ১৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে জেএমবি’র নতুন ধারার নারী দলের নেত্রী আকলিমা রহমান মনিহসহ ০৪ জন নারী জঙ্গি সদস্যকে গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকা হতে, ২৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখ জেএমবির মহিলা শাখার প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমীর কানাডা ফেরত রাশেদুজ্জামান রোজসহ ০৫ জনকে টঙ্গী ও গাজীপুর থেকে এবং ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখ বিদেশ গমনের প্রস্তুতিকালে জেএমবি’র দুই দম্পতিকে রাজধানীর ফার্মগেট ও নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন