বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

অন্যরকম এক ভালোবাসার গল্প!

কখনও আলাদা হতে চায় না শিবনাথ-শিবরাম। হেসে খেলে দিন কাটাচ্ছে শিবনাথ-শিবরাম। শরীরের মাঝামাঝি থেকে তারা জোড়া লাগানো। মাথা আর পা দুটি হলেও হাত চারখানা। এভাবেই ১২ বছর ধরে হেসে খেলে দিব্যি বেঁচে আছে দুই ভাই। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব কাজই তারা এক সাথে করে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এ অবস্থায়ই তারা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে পর্যন্ত যায়। চাইলে যেকোনো সময় অস্ত্রপচার করে আলাদা হয়ে যেতে পারে জমজ ভাই শিবনাথ ও শিবরাম। কিন্তু তারা কখনও তা চায় না। জানায়, আমরা কখনও আলাদা হতে চাই না। এভাবেই একসাথে জীবনের শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই। বুড়োও হতে চাই এভাবে। শিবনাথ সাহু ও শিবরাম সাহুর জন্ম মধ্য ভারতের রায়পুর থেকে একশ’ কিলোমিটার দূরে বালোদাবাজার লাভান গ্রামে।

কোমর থেকে জোড়া লাগানো অবস্থায়ই তারা জন্ম নেয়। আর তখন থেকেই গ্রামের সবাই তাদের দেবতা হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু দিনমজুর বাবা রাজ কুমার ও মা শ্রীমতি সন্তানদের এ অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যান। দিনের পর দিন হাসপাতালে ছুটতে থাকেন।

একসময় এক চিকিৎসক তাদের জানান, এখন যেহেতু তারা খুব ছোট তাই তাদের আলাদা করতে গেলে ঝুঁকিতে পড়তে হবে। কিন্তু ১২ বছর বয়সে করলে তা সম্ভব হবে। এরপর থেকেই বাবা-মায়ের অপেক্ষার পালা শুরু। যখন শিবনাথ-শিবরাম একসাথে সব কাজ করে- তারা দেখে খুব খুশি হন। কিন্তু দুশ্চিন্তা তাদের পিছু ছাড়ে না।

পাঁচ কন্যা ও দুই পুত্রের জনক রাজ কুমার জানান, সবাই আমার সন্তানদের এ অবস্থায় দেখে মজা পায়। কিন্তু শুধু আমিই জানি আমার সন্তানদের কত সমস্যায় পড়তে হয়। বৃষ্টির সময় তাদের হাটতে কষ্ট হয়। একজন যখন হাঁটতে চায় অন্যজন তখন বসে পড়ে। কিন্তু এ নিয়ে দু’ভাই কখনও ঝগড়া করে না।

যদি শিবনাথ বলে খেলবে তখন শিবরামও রাজী হয়ে যায়। ধীরে ধীরে যখন শিবনাথ-শিবরাম বড় হলো তখন ডাক্তাদের পরামর্শ মতো তারা হাঁটা-চলা ও কাজ করতে শিখতে থাকে। তারা নিজের কাজগুলো নিজেরাই করে। খাওয়া, গোসল, জামা-কাপড় পর্যন্ত নিজেরা পড়ে।

একজন আরেকজনের চুল আচড়ে দেয়। স্থানীয় একজন ডাক্তার জানান, শিবনাথ-শিবরাম পুরোপুরি সুস্থ আছে। তাদের মস্তিস্ক, ফুসফুস, হৃৎপিন্ড দুটি হলে পাকস্থলী একটি। তারা চাইলেই আলাদা হতে পারে। কিন্তু তারা একজন আরেকজনকে ছাড়তে চায় না। জমজ দুই ভাইয়ের মধ্যে শিবনাথ একটু দুর্বল।

সে জানায়, আমরা সব কিছুই নিজেরা করতে শিখেছি। তাই করতেও পারি। আমরা একসাথে পড়াশুনা করি। সাইকেলে চড়ে স্কুলে যাই, একসাথে ক্রিকেট খেলি। কোনো সমস্যা হয় না আমাদের।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী