অন্যেরা কেন আপনার চেয়ে সুখী?
আমরা সবাই কোনো না কোনো সমস্যাকে ঘিরেই বসবাস করছি। ব্যক্তি জীবন থেকে কর্মজীবন চারপাশে হাজারো সমস্যা। মানসিক চাপ, শারীরিক চাপ সব মিলিয়ে ভাল থাকাটা বিশাল এক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।
আপনি শুনে আশ্চর্য হতে পারেন, এই চাপের মধ্যে থেকেও কিছু মানুষ আছে যারা জীবনটাকে উপভোগ করছে, ভাল আছে, সুখে আছে। আপনি কি মনে করেন, যারা সুখে আছে তাদের অনেক অর্থ, বিত্ত, প্রতিপত্তি?
জাপানভিত্তিক নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আমাদের মস্তিষ্কে এমন এক ধরনের টিস্যু আছে যা আমাদেরকে সুখী হিসাবে ভাবতে অনুপ্রাণিত করে।
যারা সুখকে গভীরভাবে অনুভব করেন এবং অন্যদের চেয়ে জীবনকে উপভোগ করেন বেশি তাদের মস্তিষ্কের প্রিকিউনিয়াস গ্রন্থি অনেক বড় থাকে। চেতনা বা উপলব্ধি বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্কের এই অংশের এই গ্রন্থিটি সক্রিয় হয় বেশি।
গবেষণার প্রধান লেখক ও জাপানের কিয়টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াতারো সাতু বলেন, বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মেডিটেশন বা ধ্যানের কারণে মস্তিষ্কের প্রিকিউনিয়াস গ্রন্থির টিস্যুগুলো কাজ করে বেশি। বিজ্ঞানীদের গবেষণা মতে, মস্তিষ্কের এই অংশে সুখের অনুভূতিগুলি ঘটে ও সুখের কার্যাবলীকে বাড়িয়ে তোলে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের এমআরআই করা হয়। এরপর অংশগ্রহণকারীদের ওপর একটা জরিপ চালানো হয়। তাদের দুটি প্রশ্ন করা হয়, তারা কতটা গভীরভাবে আবেগ উপভোগ করেন এবং তাদের বাস্তব জীবনে কতটা সুখী?
গবেষণায় দেখা যায়, সুখময় আবেগ ও সন্তুষ্টির সমন্বয় হচ্ছে সুখ। আর উভয়ই আসে প্রিকিউনিওয়াস গ্রন্থি থেকে। গবেষণায় সবচেয়ে বেশি স্কোর যারা অর্জন করেছেন তাদের প্রিকিউনিওয়াস গ্রন্থির টিস্যুর কার্যক্ষমতা ছিল অনেক বেশি।
সাতু আরও বলেন, আমি খুবই খুশি যে, সুখের কারণ কি তা জানতে পেরেছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন