অবশেষে শিকলবন্দী থেকে মুক্ত হয়েছেন বৃদ্ধা মা
অবশেষে শিকলবন্দী থেকে মুক্ত হয়েছেন বৃদ্ধা মা মীরা দে। তার চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট দীলিপ চৌধুরী।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সেই বাড়িটিতে পরিদর্শনে যান। যে বাড়িতে শেকলবন্দী ছিলেন ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা মীরা দে।
পরিদর্শনের সময় কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট দীলিপ চৌধুরীকে পায়ে বাঁধানো শিকলমুক্ত মীরা দে’র ভালো চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান স্বজনরা।
এসময় তিনি নগদ কিছু অর্থ দেন এবং মীরার ভালো চিকিৎসা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন।
গত ২৯ নভেম্বর ‘অন্ধকার পুঁতিময় গন্ধেভরা কক্ষে শিকলবন্দী মা’ শিরোনামে ঢাকাটাইমসে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ সংবাদ প্রকাশের দিনই মীরা দে’র পা থেকে শিকল খুলে দেন তার সন্তানরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মীরা বাড়িতে তাকে দেখতে যান কাউন্সিলর। ওইসময় মুক্ত মীরা তার ছেলের ঘরে ছিলেন। এসময় মীরার ছেলে-মেয়েরা তাদের মাকে সুস্থ করার দায়িত্ব নেয়ার দাবি জানান কাউন্সিলরের কাছে। এসময় দেখা যায়, মেয়েকে জড়িয়ে মীরা বলতে থাকেন ‘আমি মেয়ের সাথে থাকব। তার সাথে চলে যাব।’ এসময় ছেলে অঞ্জন দে, কাঞ্চন দেসহ পরিবারের ঘনিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এক পর্যায়ে ছেলে কাঞ্চন দে’কে তার সঙ্গে মা মীরাকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে কাউন্সিলর দীলিপ চৌধুরী বলেন, ‘তার চিকিৎসার উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা। এজন্যে সমাজের বিত্তবানরা আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে এলে কাজটি সহজ হবে। চট্টগ্রাম শহরে রেখেই তাকে চিকিৎসা করানো হবে।’
রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন বাড়ির বৃদ্ধা মীরা গত প্রায় দেড়-দুই বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এজন্যে তাকে তিন মাস ধরে শিকল পরিয়ে রাখেন তার সন্তানরা। ব্যাপারটি প্রতিবেশী সচেতন ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সংবাদের পর মীরা শিকল খুলে দেয়া হয়। মাকে শিকল বাঁধা সম্পর্কে সন্তানরা বলেন, আমরা দরিদ্র, ভালো চিকিৎসার জন্যে বেশি টাকা প্রয়োজন। কাউন্সিলর বলেছি, মাকে তারা ভালো করে দিক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন