অবাক করা এক বাল্ব, যা জ্বলছে ১১৫ বছর ধরে
এখনও পর্যন্ত কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না এর পিছনের কারণ। মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের। এমনও হতে পারে? তা ভেবে ভেবেই আকুল পাথারে তাঁরা।
১৯০১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লিভারমোরে ফায়ারহাউসে এই বাল্বটি লাগানো হয়েছিল। তারপর থেকে মাঝে মধ্যে সামান্য সময়ের জন্য বাল্বটি নেভানো হত। ২০১৬ সালেও বহাল তবিয়েতে জ্বলে চলেছে বাল্বটি।
একটা বাল্ব ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে! এই খবর জানার পর সকলেই অবাক। বিজ্ঞানীরাও এর কোনও কুল-কিনারা করতে পারছেন না। এক এক জনে একেক রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
এই ধরনের কার্বন ফিলামেন্টের বাল্বের আয়ু সাধারণত ১ হাজার থেকে ২ হাজার ঘণ্টার হয়। এই সময়ে যে ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব বা এলইডি লাইটের চল হয়েছে তাদেরও আয়ু ২৫ থেকে ৫০ হাজার ঘণ্টা। সেখানে পুরনো আমলের ফিলামেন্ট লাগানো বাল্ব এত বছর ধরে জ্বলছে জেনেই বিস্মিত সকলে।
মাস্টারমাইন্ড ইলেক্ট্রিশিয়ান অ্যাডলফে এ চেইলট-এর করা নক্সায় এই বাল্বটি তৈরি করেছিল শেলবি ইলেক্ট্রিক নামে একটি সংস্থা। বাল্বের ফিলামেন্টে ব্যবহার করা হয়েছিল কার্বন। কিন্তু, এই ধরনের বাল্বের আয়ু কোনওভাবেই এক বছরের বেশি হয় না। মাঝে বাল্বটি নিভেছিল এলাকায় লোডশেডিং হওয়ায়। এছাড়া বাল্বটি কখনও নেভানো হয়নি।
বিজ্ঞানীদের হাতে এই বিস্ময়কর বাল্বটি তুলে দেওয়া হয়নি পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য। ফলে, অনেকে বাল্বটির শতায়ু নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার বেশিরভাগটাই অনুমান সাপেক্ষে। এঁদের অনেকের মতে, ফিলামেন্টে ব্যবহৃত কার্বনের মান খুব ভাল হওয়ায় বাল্বটি এখনও আলো দিচ্ছে। আবার কারোর মতে, বাল্বের যে কাচের খোল আছে তা খুবই সুগঠিত এবং ভেতরে বাতাস প্রবেশ করতে দেয় না। যার ফলে বাল্বটি এখনও টিকে আছে। -এবেলা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন