অবাক কান্ড! ঘুমের মধ্যেই সাপকে কামড় দিয়ে দুই টুকরো করলেন যুবক
গোটা ঘটনার কথা শুনে চিকিৎসকরাও স্তম্ভিত হয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পুলিশে খবর দেয়। আপাতত ওই হাসপাতালেই রঘুবংশির চিকিৎসা চলছে।
সাপ কামড়ালে যমে মানুষে টানাটানি হয়। কিন্তু মানুষ সাপকে কামড়ালে কী হতে পারে? এমনিতে সাপকে কামড়ানোর সাহস বা শখ সচারচর কেউ দেখান না। মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরের বাসিন্দা রঘুবংশি অজান্তেই একটি সাপকে কামড়ে দিয়েছিলেন।
কারণ ঘুমের ঘোরে কখন যে মুখে সাপ ঢুকেছে তা তিনি টেরই পাননি। ঘুম ভাঙতেই নিজের কাণ্ড দেখে আত্মারাম খাঁচা ছাড়ার উপায় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওই যুবক সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? ২৮ বছরের রঘুবংশি ঘুমোতে ভালবাসেন। তিনি আবার পেট্রল পাম্পে দিনভর খাটুনির পরে বাড়ি ফিরে বৃহস্পতিবার ঘুমটা বেশ গাঢ়ই হয়েছিল। ঘুমোতে ঘুমোতেই মুখ হা হয়ে গিয়েছিল। এমন সময় টিনের ঘরের চাল থেকে একটি সাপ ওই যুবকের গায়ে পড়ে।
দু’ঠোটের ফাঁক দিয়েই ওই যুবকের মুখের ভিতরে ঢুকতে শুরু করে সাপটি। ঘুমের ঘোরে মুখের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করায় অজান্তেই সাপটিকে কামড়ে দেন ওই যুবক। আর তাতেই সাপটি দু’টুকরো হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর পরই রঘুবংশির মা ঘরে ঢুকে দেখেন, ছেলের মুখে রক্ত লেগে রয়েছে। আর ঘরের মেঝেতে সাপের শরীরের অর্ধেক পড়ে রয়েছে। এই দৃশ্য দেখেই রঘুবংশির মা চিৎকার করে ওঠেন। তখনই ঘুম ভেঙে ওই যুবক বুঝতে পারেন কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। যদিও ঘরের মধ্যে সাপের মাথাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ, সাপটিকে কামড়ে দেওয়ায় সেটির মাথা নিজের অজান্তেই যুবক গিলে ফেলেছিলেন।
সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় পীরবাবার কাছে ছোটেন রঘুবংশের মা। তিনি ওই যুবককে একটি পাউডার খাওয়ালে বমি করে রঘুবংশি। তখনই সাপটির মাথা বেরিয়ে আসে। ওই পীরবাবার পরামর্শে এর পরে রঘুবংশকে নিয়ে হাসপাতালে যান তাঁর মা। গোটা ঘটনার কথা শুনে চিকিৎসকরাও স্তম্ভিত হয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পুলিশে খবর দেয়। আপাতত ওই হাসপাতালেই রঘুবংশির চিকিৎসা চলছে।-এবেলা
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন