অবিশ্বাস্য খবরঃ ২৬ বছরে গর্ভবতী হয়ে ৭৫ বছর বয়সে সন্তন প্রসব করল এই নারী (দেখুন ভিডিওসহ)
২৬ বছর বয়সে গর্ভবতী হয়েছিলেন জোহরা। প্রসবের মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তিনি অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতর হন। কিন্তু তখন তার প্রসব হয়নি। অবশেষে ৪৬ বছর পর তিনি প্রসব করেন একটি পাথর শিশু। তখন তার বয়স ছিলো ৭৫ বছর জোহরা আবুতালিব নামে ৯০ বছরের এই নারী মরোক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরের কাছেই এক গ্রামে পরিবার নিয়ে থাকেন। সাধারণত ৯ মাস ১০ দিন সন্তান গর্ভে ধারণ করেন নারীরা। তবে কীভাবে এই নারী এত বছর ধরে সন্তান গর্ভে ধারণ করলেন? এ নিয়ে চলছে এখন নতুন গবেষণা।
১৯৫৫ সালে ২৬ বছর বয়সে প্রথম গর্ভবতী হন জোহরা। প্রসবের মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানে অন্য এক প্রসূতিকে যন্ত্রণাকাতর অবস্থায় মারা যেতে দেখেন তিনি। এটি দেখে প্রচণ্ড ভয় পান জোহরা। প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই তিনি আবার বাড়ির পথ ধরেন। বাড়ি ফিরে জোহরা টানা কয়েক দিন যন্ত্রণা সহ্য করেন। কিন্তু বাচ্চা গর্ভেই থেকে যায়। আস্তে আস্তে তার ব্যথা কমে যায় এবং গর্ভে বাচ্চার নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে যায়।
এটিই ছিলো তার একমাত্র বাচ্চা। এরপর আর কথনো তিনি মা হতে পরেননি। সন্তান না হওয়ায় তিনটি বাচ্চা পালক নেন তিনি। পালক সন্তানেরা জোহরাকে নিজের মায়ের মতোই দেখেন। পালক সন্তানদের তিনি বিয়েও দেন। তার নাতি পুতিও রয়েছে। সন্তান ও নাতিপুতি নিয়ে বেশ ভালোই কাটছিলো জোহরার।
৭৫ বছর বয়সে নতুন করে আবার তার পেটের ব্যথা শুরু হয়। ২০০১ সালে পালক পুত্ররা তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। প্রফেসর তাইবি ওয়াজ্জানি জোহরার চিকিৎসা শুরু করেন। ওয়াজ্জানি জোহরার বড় পেট দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি ভেবেছিলেন জরায়ুতে টিউমার হবে হয়ত। আর এর জন্য তিনি জোহরাকে আলট্রাস্নোগ্রাফি করতে বলেন। কিন্তু আলট্রাস্নোগ্রাফি করার পরও বড় কোনো অসুখ ধরা পড়েনি।
তখন প্রফেসর ওয়াজ্জানি জোহরাকে এমআরআই করতে বলেন। এমআরআই করার পর বোঝা গেল আসল ব্যপারটি। আর এর মাধ্যমেই জোহরার জীবনের এক লুকানো অধ্যায় প্রকাশ হয়ে পড়ে।
প্রফেসর তাইবি ওয়াজ্জানি জোহরাকে নিয়ে অনেক বড় সমস্যায় পড়েন। তিনি ভাবছিলেন কেমন করে জোহরার ৪৬ বছর ধরে পেটে ধরে রাখা জমাট বাচ্চাটি অপারেশন করবেন। কারণ ভ্রণটির ওজন ছিল ৩.৫০ কিলোগ্রাম এবং এর দৈর্ঘ্য ছিল ৪২ সেন্টিমিটার।
পরে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা অপরেশনের পর জোহরার পেট থেকে পাথরের মতো শক্ত মৃত বাচ্চাটি বের করতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। পরে তারা শিশুটিকে ‘পাথরের শিশু’ বলে আখ্যায়িত করেন।
https://youtu.be/EFomDZx-Mic
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন