অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! এমন জায়গা পৃথিবীতেই রয়েছে
এখানে পা রাখা মাত্রই পর্যটকদের চোখে ঝলসে ওঠে বেগনি-নীল-আশমানি-সবুজ-হলুদ-কমলা-লালের বাহার। আকাশে নয় এই রংমহল পাহাড়ের গায়েই।
বঙ্কিমচন্দ্রের দাদা সঞ্জীবচন্দ্রের অনুসরণে যদি কোউ বলে বসেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, রামধনু অন্তরীক্ষে’, তাহলে তাঁকে হার মানতে হবে এক জায়গায়। শুধু আকাশে নয়, মাটিপাথরের ধরাতেও দেখা দিতে পারে রামধনু। গোটা একটা পর্বতশ্রেণি রেঙে উঠতে পারে সাতরঙের বাহারে। না কোনও কৃত্রিম কাণ্ড নয়, প্রকৃতির আজব খেয়ালে রামধনু পর্বত সত্যিই তৈরি হয়েছে চিনে।
চিনের ঝাংগিয়ে দাংজিয়া ল্যান্ডফর্ম জিওগ্রাফিক্যাল পার্ক বিশ্বের বিস্ময় বলেই পরিগণিত। এখানে পা রাখা মাত্রই পর্যটকদের চোখে ঝলসে ওঠে বেগনি-নীল-আশমানি-সবুজ-হলুদ-কমলা-লালের বাহার। আকাশে নয় এই রংমহল পাহাড়ের গায়েই। মনে হয়ে কেউ যেন দানবীয় তুলিতে রং বুলিয়েছে পাহাড়ের গায়ে।
ভূবিজ্ঞানীদের বক্তব্য— এই রঙিন পাহাড় তৈরি হতে সময় লেগেছে ২৪ মিলিয়ন বছর। টেকটনিক প্লেটের সরণের ফলে এই পাহাড়ের খাড়াইগুলো তৈরি হয়। কিন্তু তার গায়ে এই বিচিত্র রঙের বাহার ধরে অন্য কারণে। এই পর্বত মূলত বেলেপাথরে তৈরি। হিমালয় গঠনের অনেক আগে থেকেই এই পাহাড় তৈরি শুরু হয়েছিল। বালি পাথরে জমাট বাঁধার সময়ে তাতে মিশে গিয়েছিল বিভিন্ন খনিজ, গাছপালার অবশেষ ইত্যাদি। সেই মিশ্রণগুলিই এই রঙিন দুনিয়া তৈরি করে। এই পাহাড়ের প্রাথমিক রংটি কিন্তু টকটকে লাল। তার উপরেই ক্রমে জমেছে অন্য রঙের উপকরণ। ক্রমাগত আবহবিকারেই এই পাহাড় তার বর্তমান রূপটি পরিগ্রহ করে বলে জানান ভূ-বিজ্ঞানীরা। উত্তর-পশ্চিম চিনের এই অঞ্চল আজ জনপ্রিয় পর্যটক ক্ষেত্র।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন