‘অভাবের সংসারে নিজে ম্যাট্রিক পাস করতে পারিনি’- বাপ-ছেলে এক সঙ্গে পরীক্ষা !
অষ্টম শ্রেণিতেই আটকে গিয়েছিল তাঁর পড়াশোনা। এর অনেক বছর পর ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা দেখে নিজেরও ঝোঁক বাড়তে থাকে। তাই ছেলের সঙ্গে তিনিও পড়াশোনা শুরু করেন। এবার ছেলের সঙ্গে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ৪০ বছর বয়সী মাসুদ কবীর ছোটন এসএসসি সমমান (দাখিল ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে ছোটনের বাড়ি। ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ায় তিনি পড়াশোনা বেশি দূর আগাতে পারেননি। আগ্রহ থাকলেও অষ্টম শ্রেণিতেই আটকে যায় তাঁর পড়াশোনা। এরপর ঈশ্বরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের কাজ শুরু করেন। এখন স্ট্যাম্প বিক্রেতা (ভেন্ডর)।
মাসুদ কবীর ছোটন বলেন, ‘অভাবের সংসারে ইচ্ছা থাকলেও নিজে ম্যাট্রিক পাস করতে পারিনি। কিন্তু আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ের পড়াশোনা দেখে নতুন করে পড়াশোনা করতে ইচ্ছা জাগে। তাই বড় ছেলে ইফতেখার জাহান রাফির সঙ্গে পড়াশোনা শুরু করি।’
ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হয়ে কাজের পাশাপাশি বসছেন পরীক্ষায়। সারা দিন কাজ শেষে রাতে বাড়িতে ফিরে করেছেন পড়াশোনা।
এ বছর তিনি ও ছেলে রাফি ঈশ্বরগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছেন। ডিএস কামিল মাদ্রাসার ভোকেশনালের কম্পিউটার ট্রেড শাখার ছাত্র রাফি এবং ফানুর আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার ভোকেশনালের ছাত্র ছোটন।
গত রোববার ইংরেজি বিষয়ে পরীক্ষা শেষে মাসুদ কবীর ছোটন বলেন, ‘দুটি পরীক্ষাই ভালো হয়েছে। আশা করছি, আমার ম্যাট্রিক পাস করার ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে, দোয়া করবেন।’
ঈশ্বরগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছফিউল্লা সরকার বলেন, শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে বাবা পড়ালেখা শুরু করেছেন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন।
ছোটনের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ছেলে ইফতেখার জাহান রাজু অষ্টম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে সায়মা নার্সারিতে পড়ে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন