অর্থপাচার : সমন জারি হয়েছে কি না জানা যাজে আজ
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অর্থপাচার মামলায় দেয়া সমন জারি করা হয়েছে কি না সেটি জানা যাবে আজ।
মঙ্গলবার তারেক রহমানের এ বিষয়টি হাই কোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রথমেই রাখা হয়েছে। আজ তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় সমনের নোটিশ পৌঁছানোর পর, সমন জারি হয়েছে কি না তা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম হাই কোর্টকে জানাবেন।
গত ৩১ মার্চ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সমন জারির বিষয়টি শুনানির জন্য আজ (৬ এপ্রিল) দিন নির্ধারণ করেন। বিষয়টি বাংলামেইলকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
তিনি জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় পাঠানো আত্মসমর্পণের সমন পৌঁছেছে কি-না, তা বিচারিক আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলো হাই কোর্ট। পরে ৩ মার্চ সিএমএম হাই কোর্টকে জানিয়েছেন, প্রথমে তারা হাইকোর্টের আদেশ বোঝেননি। পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি আবার সমন পাঠিয়েছেন।
এর আগে ১৬ মার্চ লন্ডন হাইকমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারেক রহমানের নতুন ঠিকানায় সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৩১ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ নোটিশটি তার ঠিকানায় পৌঁছেছে কি না জানতে চেয়ে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ ৬ এপ্রিল নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
বাংলাদেশের লন্ডন হাইকমিশন হাই কোর্টে প্রতিবেদন দেয় যে তারেক রহমানের সমন যে ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে সেই ঠিকানায় তিনি নেই। তাই সেদিন নতুন ঠিকানায় চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে ৩১ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। এবং শুনানি করে সমন জারির বিষয়টি শুনতে আবার ৬ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ এনে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা গ্রহণ করেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন করা হয়।
এরপর মামুন ওই টাকা সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জশিটের বাইরে সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেশটিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট। মামলায় তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে, তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন হাই কোর্ট। এখনো বিচারকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি বিএনপির সিনিয়র এ নেতা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন