সুখী ও স্বচ্ছল জীবনযাপনের জন্য অর্থের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু সবাই সৎপথে অর্থ রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারে না। বাধ্য হয়ে অনেকে অসৎ পথ বেছে নেয়। স্বভাবে হোক কিংবা অভাবে— কেউ কেউ বেছে নেয় চুরির পথ।

ক্ষেত্র বিশেষে চুরিও একটা শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে। সম্প্রতি সেই বিষয়টিই যেন সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও’র মাধ্যমে।

ভিডিওটি ব্রাজিলের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের। এতে দেখা যাচ্ছে, শর্ট স্কার্ট পরিহিত দুই যুবতীকে আটক করেছেন দোকানের কর্মীরা। বোঝাই যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ রয়েছে। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে তার পর দোকানে রাখা জিনিসপত্র হাতাচ্ছিলেন দু’জনে। সেই সময়েই হাতেনাতে দুই তরুণীকে ধরে ফেলেন দোকানের কর্মচারীরা। কিন্তু তাদের আসল ‘কৃতিত্ব’ চুরিতে নয়, চুরির কৌশলে।

কর্মচারীদের হাতে ধরা পড়ার পরে দুই তরুণী যখন নিজেদের চুরি করা মাল বের করে দিচ্ছিলেন, তখনই ধরা পড়ছে তাদের চুরির অভিনব কৌশল।

দেখা যাচ্ছে, তারা ছোট স্কার্টের ভেতরে পরেছেন লম্বা অন্তর্বাস। সেই অন্তর্বাসের ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়েছেন একটি লম্বা পিচবোর্ডের টুকরো। বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই, তাদের পোশাকের ভেতরের এই অভিনব ব্যবস্থা। দোকানে ঢোকার পরে কর্মচারী ও রক্ষীদের নজর এড়িয়ে তারা চুরি করা জিনিস ঢুকিয়ে ফেলছেন নিজেদের অন্তর্বাসের ভেতরে। পিচবোর্ডের টুকরোটি কাজ করছে সুরক্ষাকবচ হিসেবে। অন্তর্বাসের ভেতর থেকে কোনো জিনিস পা বেয়ে নেমে আসার সম্ভাবনা থাকছে না। ফলে দিব্যি চুরির কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন দুজনে।

ধরা পড়ার পরে তারা যখন চুরি করা জিনিসপত্র বের করে দিচ্ছেন তাদের গোপন আস্তানা থেকে, তখনই বোঝা যাচ্ছে, কেবল একটি নমনীয় অন্তর্বাসের ভেতরে কত কিছু ঢুকিয়ে রাখা যেতে পারে। অজস্র চুরি করা জিনিস নিজেদের অন্তর্বাসের ভেতর থেকে বের করতে দেখা গেছে দুজনকে।