আইনের ফাঁক গলে বনানীতে ধর্ষণে অভিযুক্তরা যেন পার না পায়: গণজাগরণ মঞ্চ

বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা যেন আইনের ফাঁক-ফোঁকর গলে পার না পায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। একই সঙ্গে বাকী তিন আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। ‘খুনি ধর্ষকদের বিরুদ্ধে জাগ্রত বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই কর্মসূচির আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, মানবাধিকার কর্মী ও ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশি কবির, শিক্ষাবার্তা সম্পাদক এএন রাশেদা, ভাস্কর রাশা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শুরু হয়ে টিএসসি ঘুরে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন: যখন কন্যা ধর্ষণের বিচার না পেয়ে পিতাকে আত্মহত্যা করতে হয়, প্রকাশ্যে চার তারকা হোটেলে নিয়ে দুজন তরুণীকে ধর্ষণ করে হোটেলের ভিডিও ফুটেজ মুছে দেওয়া হয়, আসামীরা পালিয়ে বেড়ায়, তাদের ধরার দাবিতে জনগণকে রাস্তায় নামতে হয়, ফেসবুকে লিখতে হয় তখন আসলে কনফিউজড (দ্বিধান্বিত) হয়ে যাই আমি কি মানুষ না অন্য কিছু। গায়ে চিমটি কেটে দেখতে হয়।
“হযরত আলী যখন তার কন্যা ধর্ষণের বিচার না পেয়ে সেই শিশুকন্যাসহ রেল লাইনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তখন দেশের সামগ্রিক চিত্র কিন্তু বোঝা যায় এই একটি ঘটনায়।”
এসময় তিনি তনু, রিশাসহ গত তিন বছরের প্রতিটি খুন-ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান। এছাড়া হযরত আলী কেন আত্মহত্যা করলেন তা তদন্ত করে বের করার জন্য তিনি সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। যাতে ভবিষ্যতে আর কাউকে এভাবে আত্মহত্যা করতে না হয়।
নারীনেত্রী খুশী কবির বলেন: ‘আসামিরা যত প্রভাবশালীই হোক আইনের ফাঁক-ফোঁকর গলে যেন বের হতে না পারে এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে। পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও পরে ৬ মে মামলা গ্রহণ করে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ। মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে। অন্য আসামিরা হলেন তার দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ এবং গাড়িচালক ও দেহরক্ষী। মামলার পর বনানী থানার পরিদর্শক মতিন এর তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে আদালতে আবেদন করলেও পরে তদন্তকারী বদলানো হয়।
এই ঘটনায় ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতি ও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাদেরকে ঢাকায় এনে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। প্রধান আসামিসহ অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলায় দুই শিশু নিহত, আহত ১৭
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলে জানালা দিয়েবিস্তারিত পড়ুন