আইপিএলে ভয়াবহ অফ ফর্মে সাকিব
আইপিএলের তক্তা উইকেটেও ফুল ফোটাচ্ছেন বাংলাদেশর মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁর জাদুকরী বোলিংয়ে রীতিমতো মুগ্ধ ক্রিকেট দুনিয়া। কিন্তু বাংলাদেশি আরেক তারকা সাকিব আল হাসানের হলোটা কী? ব্যাটে রান নেই, বোলিংয়ে ধার নেই!
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডারসের (কেকেআর) ঘরের ছেলে তিনি অনেক দিন ধরে। ২০১২ ও ২০১৪ সালে শিরোপা জয়ে রাখেন বড় ভূমিকা। অথচ সেই সাকিবকে কিনা এবারের প্রথম দুটি ম্যাচে একাদশেই রাখাই হয়নি। এরপর মাঠে ফেরেন ঠিকই, কিন্তু নিজেতে ফিরে পেলেন না। চার ম্যাচে ৬.৬৬ গড়ে সাকল্যে ২০ রান এবং ৪৫ গড়ে দুই উইকেট। যে কারণে পরের দুটি ম্যাচ কলকাতা খেললো সাকিব ছাড়া।
সেই ২০১১ সালে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকায় যোগ দিয়েছিলেন নাইট রাইডার্সে। পরের বছর সেই অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল সাড়ে তিন কোটিতে। কিন্তু এ বছর তার যে ফর্ম তাতে আগামী বছর এই অঙ্কটা কোথায় নেমে যায়, সেটাই প্রশ্ন।
নিচে আইপিএলে সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স তুলে ধরা হলো-
২০১১
২০১১ সালেই সাকিবের আইপিএল যাত্রার শুরু। সেবার অবশ্য খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। তবে ৭ ম্যাচ খেলে বোলিংয়ে মাত্র ৬.৮৬ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১১টি উইকেট। বোলিংয়ে আলো ছড়ালেও ব্যাটিং ততটা ভাল হয়নি। ১৪.৫ গড়ে এবং ১৩১.৮১ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন সর্বমোট ২৯ রান, যদিও লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামায় খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি তিনি। দল হিসেবে সেবার আইপিএল এ চতুর্থ অবস্থানে ছিল কোলকাতা।
২০১২
২০১২ সালের আইপিএল-এ প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা। তাতে সাকিবের বোলিংয়ের বেশ ভাল অবদান ছিল। ৮ ম্যাচে ৬.৫ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট, যা কিনা তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। আগের বছরের মত ২০১২ সালেও ব্যাট হাতে তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না সাকিব, ১৫.১৬ গড়ে এবং ১২২.৯৭ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন সর্বমোট ৪২ রান। তবে ফাইলালে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে খেলেছিলেন ৭ বলে অপরাজিত ১১ রানের একটি সময়োপযোগী ইনিংস।
২০১৩
২০১৩ সালের আইপিএল এ কলকাতা দলে নাম থাকলেও বাংলাদেশের হয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাওয়ায় কোন ম্যাচ খেলা হয়নি সাকিবের। দল হিসেবে সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
২০১৪
কলকাতার দ্বিতীয় বারের মত আইপিএল এর শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে ব্যাটে-বলে সাকিবের অবদান ছিল বড়। আইপিএল-এ ওই বছরই সবচেয়ে সফল ছিলেন সাকিব। তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৩ ম্যাচ খেলে ৬.৬৮ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও ছিল তার দারুণ পারফরম্যান্স। ৩২.৪২ গড়ে এবং ১৪৯.৩৪ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ২২৭ রান, যা ছিল তার এখন পর্যন্ত আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ সর্বমোট রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৬০ রান। শুধু তাই নয়, অসাধারণ পারফর্ম করে জিতেছিলেন প্লেয়ার অফ দ্য ফাইনালের পুরষ্কারও!
২০১৫
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ থাকায় গত বছর মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। বোলিংয়ে ৮.৭৮ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট আর ব্যাটিংয়ে ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন সর্বমোট ৩৬ রান। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সেবারও খুব একটা ভাল করতে পারেনি তার দল কলকাতা, গ্রুপপর্ব থেকেই আইপিএল যাত্রা শেষ করেছিল তারা।
২০১৬
সবচেয়ে বাজে বছর। প্রথম দুই ম্যাচে উপেক্ষিত থাকার ফলেই কী মনোবলে চিড় ধরেছে সাকিব আল হাসানের? পরের চারটি ম্যাচ টানা খেললেও ব্যাট ও বল হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি। চার ম্যাচে ৬.৬৬ গড়ে রান করেন মাত্র ২০। বোলিংয়েও একই চিত্র। ৪৫ গড়ে উইকেট নেন মাত্র ২টি। যা অবস্থা তাতে খুব বেশি ম্যাচে একাদশে জায়গা হবে বলে মনে হয় না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন