আতিয়া মহলে নিহতদের একজন জঙ্গি মুসা!
সিলেটের শিববাড়ি আতিয়া মহলের জঙ্গি আস্তানায় নিহত এক যুবকের সঙ্গে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসার চেহারার মিল পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও ধারণা করছেন, নিহতদের মধ্যে একজন মুসা হতে পারে। অভিযানের আগে তাদের কাছে তথ্য ছিল সিলেটের এই জঙ্গি আস্তানায় মুসা অবস্থান করছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে রাজশাহীর বাগমারায় মুসার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। একইসঙ্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেও মিলিয়ে দেখা হবে। নিহত জঙ্গিদের একজন মুসা কিনা তা জানতে কিছু সময় লাগবে বলে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম রোকন উদ্দিন। তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী লাশের পরিয় জানার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করেই পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, সিলেটের জঙ্গি আস্তানায় মুসা অবস্থান করার কারণেই অভিযান শেষ করতে চার দিন লেগে যায়। কারণ মুসা কেন্দ্রীয় আস্তানা হিসেবে এখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ করেছিল। একইসঙ্গে অভিযান চলাকালে ভেতর থেকে মুসা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাইরে যোগাযোগ করে ‘কাউন্টার অ্যাটাকের’ নির্দেশনা দিয়েছিল বলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা। ফলে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিলেটের শিববাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়।
আতিয়া মহলে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে নিহত চার জঙ্গির দুজনের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর তা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত লাশগুলোর চেহারা ঝলসে গেছে। নারী জঙ্গির মাথার চুল পুড়ে গেছে। শরীরে ইট-সুরকি মাখানো। আর পুরুষ জঙ্গির কোমরের অংশ উড়ে গেছে। কোমরের অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তার কোমরে সুইসাইডাল ভেস্ট ছিল। আত্মঘাতী হওয়ার কারণে তার নাড়ি-ভুঁড়িও বের হয়ে গেছে। এই জঙ্গির একটি হাতও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাকি একজনের সঙ্গে সুইসাইডাল ভেস্ট রয়েছে। সেটি বিস্ফোরিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পর মঙ্গলবার তাদের লাশ উদ্ধার করা হবে।
মিরপুরের রূপনগরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত মেজর জাহিদের হাত ধরে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয় মঈনুল ইসলাম মুসা। তাদের আরেক সহযোগী তানভীর কাদেরীও নিহত হয় ঢাকার আজিমপুরের অভিযানে। মুসা উত্তরার লাইফ স্কুলে এক সময় শিক্ষকতা করলেও পরে নব্য জেএমবিতে যোগ দিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ কথিত হিজরত করে। গত বছরের পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর ধারাবাহিক জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে একের পর এক শীর্ষ জঙ্গি নেতারা গ্রেফতার ও নিহত হওয়ার পর মুসা নব্য জেএমবির হাল ধরেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন
বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন
কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন