আদিতে কেমন ছিল তরমুজ-গাজর-কলা
গাজর, তরমুজ, কলা প্রভৃতি ফলমূল বা সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর। বর্তমান সময়ে এসব ফলমূলের যে আকার-আকৃতি, আগে তা সে রকম ছিল না। শুরুর দিকে এগুলো দেখতে কেমন ছিল তা নিয়ে ডেইলি মেইল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রথমে যেসব ফলমূল ও শাকসবজি খেতেন, সেগুলোর আকৃতি ও ধরন আধুনিক যুগের ফলমূলের চেয়ে ভিন্ন ছিল। প্রযুক্তির কল্যাণে আদিম যুগের ওই সব ফলমূল আকার, রং, স্বাদ সব দিক থেকেই পরিবর্তিত হয়েছে। আবার বর্তমানে আমরা যেসব ফলমূল ও শাকসবজি খাই, সেগুলো আমাদের পূর্বপুরুষের কাছে ছিল অপিরিচত।
আজ থেকে ১২ হাজার বছর আগে কৃষিব্যবস্থা উদ্ভাবনের পর কৃষকরা নতুন উপায়ে শস্যের উন্নতি সাধন করে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ এসব ফসলের জিনগত পরিবর্তন ঘটায়। আমাদের পূর্বপুরুষরা সংকর প্রজননের মাধ্যমে অথবা বীজ লাগিয়ে ফসল ফলাতেন। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোর আকৃতিগত পরিবর্তন হয়েছে।
ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটির নির্বাহী সহযোগী পরিচালক ব্রুস চেসির ভাষ্যমতে, বনের মধ্যে উদ্ভিদের এই বদলে যাওয়া এবং ফসলের উন্নতি সাধন সম্ভব হতো না, যদি না মানুষ এসবের যত্ন নিত।
১৯৮০ সালের দিকে খাদ্যের জিনগত পরিবর্তন শুরু হলে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে এক উদ্ভিদ থেকে অন্য উদ্ভিদে জিন বা ডিএনএ স্থানান্তর করা সম্ভব। ১৯৯৪ সাল পর্যন্তও এসব পরিবর্তিত খাবার মানুষের কাছে সহজলভ্য ছিল না।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের তরমুজ পাওয়া। স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে সব তরমুজেরই ভেতরের পুরোটা অবিভক্ত। কিন্তু আগেকার তরমুজ ছিল আকারে ছোট, ভেতরে প্রকোষ্ঠের মতো দেখতে ছয়টি ভাগ ছিল হালকা লাল রঙের। বিচিও ছিল অল্প। সেই তরমুজের পরিবর্তন ঘটিয়ে আকারে যেমন বড় করা হয়েছে, তেমনি রঙও হয়েছে টকটকে লাল। ভেতরের শাস নরম।
আদিম যুগে বনের মধ্যে যেসব কলা জন্মাত, সেগুলোর চেয়ে বর্তমান কলার রূপ একেবারেই ভিন্ন। ধারণা করা হয়, সাত হাজার বছর আগে প্রথম কলার চাষ শুরু হয়।
বর্তমানে সব তরকারির উপযোগী যে বেগুন, অতীতে তার আকার-আকৃতিও ছিল ভিন্ন ধরনের। অনেক বেগুনের কাঁটা থাকত এবং সেগুলো ফুলের সঙ্গে যুক্ত থাকত। যদিও এখনো সেসব প্রজাতির কিছু দেখা যায়, কিন্তু নতুন নতুন উদ্ভাবিত প্রজাতির ভিড়ে সেসব হারিয়ে যাচ্ছে।
দশম শতাব্দীতে ইরান ও এশিয়ায় বুনো গাজরের সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলো পুরোটাই ছিল শিকড়সদৃশ; রং রক্তাভ বা সাদা। এই সবজিতে এখনো মূলের দেখা মেলে তবে তা গায়ের সঙ্গে প্রায় মিশে গেছে।
উনিশ শতকে ঘরের খাবারে গাজরের ব্যবহার শুরু হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন