আধুনিক টুথপেস্টের জন্মকাহিনী জেনে নিন..
আঠারো’শো শতাব্দীতে শুরু হয় আধুনিক টুথপেস্ট তৈরি। তখন এতে উপাদান হিসেবে থাকতো সাবান। ঐ একই সময়ে ইংল্যান্ডে যে পেস্ট তৈরি হতো, তাতে ব্যবহার করা হতো সুপারি। ১৮৫০ সালের দিকে গিয়ে সাবানের সাথে যোগ হলো চক।
অবশ্য ১৮৫০ সালের আগে যে টুথপেস্ট তৈরি হতো, সেগুলো ছিলো আসলে পাউডার! কিন্তু ১৮৫০-এর দশকে সাবানের বদলে সোডিয়াম লরেল সালফেট বা এর মতো অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত হতে শুরু করলো। ফলে পাউডারের বদলে উৎপন্ন হলো মসৃণ পেস্ট, অথবা ক্রিমওয়ালা তৈলাক্ত পদার্থ। এই নতুন ধরনের টুথক্রিমকে বয়ামের ভিতরে রাখা হলো। নিউইয়র্ক ভিত্তিক কোম্পানি “কোলগেট” ১৮৭৩ সালে বয়ামের ভিতর সুগন্ধি টুথক্রিম ভরে সেটা বাজারজাত করতে শুরু করলো।
আমেরিকান দন্ত চিকিৎসক ওয়াশিংটন শেফিল্ড এই ক্রিমের মধ্যে পুদিনা পাতার নির্যাস মিশিয়ে তার রোগীদের উপর প্রয়োগ করতে শুরু করলেন। যার ফলে রোগীরা ডাক্তারের কাছে পেস্টের জন্য বায়না ধরতে আরম্ভ করলো। ফাঁক বুঝে ডাক্তার সাহেবও ব্যবসায় নেমে পড়লেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি কলাপ্সিবল টিউবের ভিতরে করে টুথপেস্ট উৎপাদন করেন।
টিউবের ভিতরে ভরে পেস্ট উৎপাদনের বুদ্ধিটা তিনি পেয়েছিলেন তার পুত্রের কাছ থেকে। পুত্র যখন প্যারিস ভ্রমণে গিয়েছিলো, তখন টিউব থেকে রঙ বের করে চিত্রশিল্পীদের আঁকাআঁকি করতে দেখেছিলো। ফলে টিউবের ভিতরে রঙের বদলে জায়গা হলো পেস্টের। আজ পর্যন্ত টুথপেস্টের বাহন হিসেবে টিউবের চেয়ে ভালো কোনো আইডিয়া কেউ নিয়ে আসতে পারেনি। অবশ্য টুথপেস্টের প্রথম টিউবগুলো তৈরি করা হয়েছিলো সীসা দিয়ে।
১৮৯৬ সালে “কোলগেট” কোম্পানি ডাঃ শেফিল্ডের নকশা করা টুথপেস্টের টিউব নকল করে নিজেরা টিউবের ভিতরে টুথক্রিম ভরে বিক্রি করা শুরু করলো।
বিংশ শতাব্দীর মাঝখানে এসে টুথপেস্ট মোটামুটি আজকের আকার ধারণ করলো। এখন আমরা শুধু ঝা চকচকে দাঁতের জন্যেই পেস্ট ব্যবহার করি না, বরং এখনকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো, দাঁতের ক্ষয় রোধ করা। এর জন্য আমরা যে ফ্লুওরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করি, সেটা তৈরি হয়েছিলো ১৮৯০-এর দশকে। আধুনিক পেস্টে রুক্ষ উপাদানের পরিমাণও বহুলাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। কারণ এটা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।
সাম্প্রতিক সময়ে যে পেস্ট তৈরি হচ্ছে সেগুলোতে থাকে ফ্লুওরাইড, রঙ, ফ্লেভার, sweetener, এবং পেস্টকে মসৃণ করার জন্য যা দরকার সেইসব উপাদান। সাথে থাকে ফেনা হওয়ার, আর্দ্র থাকার, দাঁত সাদা করার, দাঁতের ক্ষয় রোধ করার, মাড়িকে সুস্থ রাখার, এবং নিঃশ্বাসের সজীবতা ধরে রাখার উপাদান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন