আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন মিরাজ
সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরটা কেমন হলো?
দলীয়ভাবে খুব খারাপ হয়েছে, তা আমি বলবো না। হ্যাঁ, আমরা ম্যাচ জিততে পারিনি। কিন্তু চেষ্টা করেছে সবাই ভালো করার। এখানে তো বাইরের দলগুলোর গিয়ে ভালো করাই কঠিন। আমাদের অনেকেই ভালো ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। একটা-দুটো ম্যাচ জিতলে ভালো হতো।
আপনার নিজের ক্ষেত্রে এই সফরটার মূল্যায়ন কী?
আমার মনে হয়, আমি এখান থেকে অনেক কিছু শিখে আসতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক কিছু শেখার মঞ্চ ছিল। দেশে অভিষেক হয়েছে আমার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে দুটো টেস্ট খেলেছি, দুটোই কন্ডিশন-উইকেট আমার জন্য যেমন চাই, তেমন ছিল। এখানে উল্টো পরিস্থিতিতে খেলতে হয়েছে। সবসময় ক্যারিয়ার জুড়ে আমি নিজের পছন্দের উইকেট পাবো না। ফলে এই ধরনের উইকেট কী করতে হয়, সেটা শেখার দরকার ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, জাতীয় দলের হয়ে প্রথম সফর ছিল। ফলে আমাকে জাতীয় দলের সঙ্গে ঘোরা থেকে শুরু করে অনেক কিছুই শিখতে হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের মতো একটা বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আপনি নতুন বলে ইনিংস শুরু করেছেন। যেটা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসেই বিরল একটা ঘটনা…
হ্যাঁ, এটা আমার জন্যও সারপ্রাইজিং ছিল। ওখানকার উইকেটে নতুন বলটা ফাস্ট বোলাররাই ব্যবহার করে। আমিও ভেবেছিলাম, আমাদের ফাস্ট বোলাররা বল করবে। কিন্তু ক্যাপ্টেন আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। আমি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট পেয়েছি নতুন বলে। ফলে আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু এরকম জায়গায়, যেখানে টার্ন বলে কিছু নেই; সেখানে নতুন বলে বল করতে একটু নার্ভাস লাগছিল। পরে নিজেকে বলেছি, জায়গায় বল করতে হবে। প্রথম ওভারেই তো সুযোগও এসে গিয়েছিল।
সুযোগ এলেও উইকেট শেষ অবধি বেশি পাননি। এখানে নিজের ভূমিকাটা কী উইকেট শিকারীর চেয়ে রান আটকানোর বেশি ছিল?
ঠিক। আমি দেশের বা উপমহাদেশের উইকেটে হয়তো অ্যাটাকিং বোলিং বেশি করবো। কিন্তু এখানে আমাকে আসলে শিখতে হয়েছে, কীভাবে জায়গায় আরও বেশি বল ফেলা যায়। আমি চেষ্টা করেছি, আমার পাশ থেকে বেশি ডট বল করে যেতে। এটাই আমাদের গেমপ্লান ছিল।
আগের সিরিজেই ১৯ উইকেট। সেখান থেকে এক ধাক্কায় এই সিরিজে ৪ উইকেট। একটু কী হতাশ লেগেছে?
নাহ। ওই যে বললাম, আমার অন্য ভূমিকা নিতে হয়েছে। এখানে আমি ওই সিরিজের মতো আশাও করিনি। আর প্রতি সিরিজেই তো এত উইকেট আসবে না। আমি চেষ্টা করেছি। যা হয়েছে, ভালোর জন্যই হয়েছে।
এখন সামনে ভারত সফর। কি আশা করছেন?
ভারত সফরও সহজ হবে না। ওরা এখন পৃথিবীর অন্যতম সেরা দল। নিজেদের মাটিতে তো খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে ভারতের কন্ডিশন আমাদের জন্য খুব নেগেটিভ হবে না। ওরাও মূলত স্পিন সহায়ক উইকেট বানাবে। ফলে আমরা ভালো লড়াই করতে পারবো এবং পজিটিভ রেজাল্টের জন্য খেলতে পারবো।
যেহেতু স্পিন সহায়ক উইকেট, আপনার ওপর আবার প্রত্যাশা থাকবে এই টেস্টে?
আমি ভালো করার চেষ্টা করবো। দেখুন, কন্ডিশন আর উইকেট যেমনই হোক, ভালো বোলিং করতে পারতে হবে। তাতে আমি উইকেট না পেলেও দল উপকৃত হবে। আমি সেটা করতে চাই। নিজে কত উইকেট পাবো, কী করবো, এটা নিয়ে ভাবি না।
ভারত সফরে অশ্বিনের সঙ্গে দেখা হবে নিশ্চয়ই…
হ্যাঁ, আমি সে জন্য বেশ এক্সাইটেড। এখন বিশ্বের সেরা স্পিনার অশ্বিন। আমি চেষ্টা করবো ওর সঙ্গে আলাদা করে একটু কথা বলতে। যতদূর শুনেছি ও খুব ভালো বুঝিয়ে বলতেও পারে। ওর কাছ থেকে কিছু টিপস নেব। টিপসের চেয়েও বড় হলো, তার তো অনেক অভিজ্ঞতা। তার সঙ্গে কিছু কথা বলতে পারলে অবশ্যই উপকার হবে।
শেষ প্রশ্ন। আমরা জানতাম, মিরাজ ব্যাটিং অলরাউন্ডার। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার ব্যাট থেকে রান পাওয়াই যাচ্ছে না…
হ্যাঁ, এটা নিয়ে আমিও চিন্তা করছি। কিন্তু চিন্তা করে তো ঠিক লাভ হবে না। আমি কাজ করছি। আমার আত্মবিশ্বাস আছে। আমিও মনে করি, আমি ব্যাটিং করতে পারি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো কঠিন জায়গা। সবকিছু সহজে হবে না। আশা করি, দ্রুতই একটা ভালো ইনিংস খেলতে পারবো। তারপর আর সমস্যা হবে না।
–সাক্ষাৎকার
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন