আমাদের নাম ও পদবীর আদ্যক্ষর এমন কিছু কথা জানায়, যা জ্যোতিষের অন্য শাখার পক্ষে এত সহজে বলা সম্ভব নয় বলে জানায় নিউমেরালজি।

নিউমেরোলজি বা সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে প্রতিটি অক্ষর বা বর্ণের নিজস্ব সংখ্যামান রয়েছে। এবং এই বিদ্যা অনুসারে প্রতিটি বর্ণের নিজস্ব গুণ, এনার্জি ও ভাইব্রেশন রয়েছে। তাই এক একটি অক্ষরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয়ের ব্যঞ্জনাও আলাদা। আমাদের সঙ্গে যে অক্ষরটি সবথেকে ঘনিষ্ঠ, তা আমাদের নাম। আমাদের নাম ও পদবীর আদ্যক্ষর তাই এমন কিছু কথা জানায়, যা জ্যোতিষের অন্য শাখার পক্ষে এত সহজে বলা সম্ভব নয় বলে জানায় নিউমেরালজি।

এখানে বর্ণমালার প্রথম অক্ষরটিকে নিয়ে নিউমেরোলজির বক্তব্য আলোচিত হল। আপনার নাম বা পদবীর আদ্যক্ষর যাদি ‘অ’, ‘আ’ বা ইংরেজি ‘a’ হয়ে তাকে, তবে জেনে নিন, কী জানায় সংখ্যাতত্ত্ব আপনার বিষয়ে।

নিউমেরোলজির মতে, ‘a’-র সংখ্যামান হল ১। যে কোনও বর্ণমালাতেই গোড়ার এই স্বরাক্ষরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এঁদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি এই প্রকার—

• ‘অ’ বা ‘আ’ দিয়ে শুরু যাঁদের নাম বা পদবী, তাঁরা প্রাথমিক ভাবেই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

• এই ব্যক্তিরা অনেক সময়েই নেতৃত্বে উঠে আসেন। কেবল রাজনীতি নয়, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেও এঁরা অগ্রণী থাকেন।

• এই ব্যক্তিরা সাধারণত ঘোর বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে থাকেন। যুক্তি এঁদের প্রধান চালিকাশক্তি।

• একই সঙ্গে এঁরা রোম্যান্টিক। তবে, জীবনের গোড়ায় এঁদের রোমান্স অনেক সময়েই একতরফা থেকে যায়।

• এঁরা স্পষ্টবক্তা। বহুক্ষেত্রেই এঁদের স্পষ্টবাদনের মূল্য চোকাতে বিপুল বেগ পেতে হয়।

• অভিনয় কলায় এঁদের সিদ্ধি লাভ প্রায়শই ঘটে থাকে।

• এঁদের অনেকেই শিল্পী স্বভাবের। কাব্য বা চিত্রকলায় বিশেষত।

• এঁরা সাহসী। তবে অনেক সময়ে সাহস প্রদর্শনের জন্য এঁদের বিপদে পড়তেও হয়।

• গবেষণা, শিক্ষকতা ইত্যাদি পেশায় এঁদের সাফল্য নিয়মিত দেখা যায়।

• এত গুণ থাকা সত্ত্বেও এঁরা অন্যের সমালোচনা করতে ভালবাসেন। এই সমালোচনা সর্বদা গঠনমূলক হলেও অন্যের মনোবেদনার কারণও হয়ে দাঁড়ায় মাঝে মাঝে।