আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ বলে দিবে কিশমিশ!
আপনার সন্তানের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে কিছু করতে চান? তাহলে তাকে প্রতিদিন কিশমিশ খেতে দিন। এক দল গবেষক শিশুদের পড়াশোনার মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য উপায় খোঁজ করেন। তখন তারা জানতে পারেন, এক্ষেত্রে কিশমিশ অনেক উপকার করতে পারে।
এই ছোট একটি পরীক্ষায় তারা জানতে পারেন, শিশুরা তাদের পরীক্ষায় অনেক ভাল করতে পারেন, যদি তারা নিয়মিত কিশমিশ খায়। আট বছরের শিশুদের উপর এর প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এরকম তথ্য পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানীরা একটি পরীক্ষা পদ্ধতি উদ্ভাবন করে তাদের এই গবেষণা সম্পন্ন করেন। তারা কিছু শুঁকনো খাবার হিসেবে কিশমিশ ও একটি প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করেন। তারা ২০ মাস বয়সী কিছু বাচ্চাদের নিয়ে পরীক্ষা করেন। তারা শিশুদের সামনে বসিয়ে রেখে সেই শুঁকনো খাবার ও কাপ তাদের থেকে একটু দূরে রাখেন।
তারা শিশুদের বলেন, তারা না বলা পর্যন্ত যেন শিশুরা সেই খাবার না ধরে। এভাবে তারা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সকল শিশুরা সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা সময় শেষ হবার পূর্বে সেই খাবার ও কাপ নিতে আগ্রহী ছিলেন। বাকীরা অনুমতি দেয়ার পর কিশমিশ ধরতে গিয়েছেন।
গবেষণার পর তারা সাত বছর অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে দেখতে পান, যে সকল শিশুরা ছোটকালে তাদের আচরণ ঠিক রাখতে পারে নি। অর্থাৎ যারা সময় শেষ হবার পূর্বে কিশমিশ ধরতে গিয়েছিল তারা বিদ্যালয়েও ভাল ছাত্র হিসেবে গড়ে উঠে নি। যারা সময় শেষ হবার পর অনুমতি সাপেক্ষে কিশমিশ খেয়েছিল তারা বিদ্যালয়ে ভাল স্থানে রয়েছে।
শিশুদের মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ ও শেখার ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য তারা এই খেলা খেলেছিল। ফলাফল অনুযায়ী তাদের ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক বলে মনে হচ্ছে। যে সকল শিশুরা ছোটকাল থেকেই ডিসিপ্লিন মেনে আসছে তাদের পড়াশোনার চেষ্টাও স্বাভাবিক। তারা দ্রুত কোন কিছু চান না। উদ্ভাবনী চিন্তায় বিশ্বাস করে বড় হন তারা।–সূত্র: জি নিউজ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন