আবারো রাজধানীতে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী
বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। গতকাল বুধবার ভোরে পুরান ঢাকার লালবাগের শহীদনগরের একটি নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির শনাক্তমতে পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, মেয়েটি গাবতলীর বাগবাড়ির একটি মেসে থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। মঙ্গলবার দুপুরের পর মেয়েটি লালবাগের শহীদনগরে বসবাসরত তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যায়। ওই বন্ধুর সঙ্গে রাতে বের হলে শহীদনগর লোহার ব্রিজ থেকে তিন যুবক মেয়েটিকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ ভোরের দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই ছাত্রী জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পুরান ঢাকায় বন্ধুর কাছে যায় সে। বন্ধুটি তাকে নিয়ে চকবাজারে এক মীয়ের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। রাত ১২টার দিকে তারা তাদের আরেক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়।
পথে শহীদনগর লোহার ব্রিজ এলাকায় তাকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে বলে পানি কিনতে যায় তার বন্ধুটি। ওই সময় তিন যুবক তার মুখ চেপে ধরে টিনশেড একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওই তরুণী জানায়, ছেলেটির সঙ্গে চার বছর ধরে তার বন্ধুত্ব। তারা শিগগির বিয়ে করার পরিকল্পনা করছিল। এ নিয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার তারা ছেলেটির এক আত্মীয়ের কাছে গিয়েছিল। এ ঘটনার জন্য মেয়েটি তার বন্ধুকে সন্দেহ করছে না বলে জানায়।
তার বন্ধুটি যানজাবিল পরিবহনের বাস চালান বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাসচালক বন্ধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে লালবাগের শহীদনগরে আসে। তিনি মেয়েটিকে তাঁর ফুপুর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঘোরাঘুরি শেষে মেয়েটিকে গাবতলীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। রাত ১২টার দিকে মেয়েটিকে নিয়ে তিনি শহীদনগর লোহার ব্রিজের ওপর আসেন। তিনি মেয়েটিকে রেখে একটি দোকানে পানি কিনতে যান। কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন, মেয়েটি আর সেখানে নেই। এরপর তিনি ওই এলাকার টহল পুলিশের সহায়তা নেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ভোর রাতে লোহার ব্রিজের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটির শনাক্ত মতে গতকাল সকালেই অভিযান চালিয়ে সৈকত ইসলাম ওরফে রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত জানিয়েছে, সে ও তার দুই বন্ধু মিলে মেয়েটিকে তার চাচার একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। সৈকতের অন্য দুই বন্ধুকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি জানান, মেয়েটির মা-বাবা বরিশালের মুলাদীতে থাকেন। তাঁরা এলে এ বিষয়ে মামলা হবে। ধর্ষণের সঙ্গে মেয়েটির বন্ধুর কোনো যোগসাজশ রয়েছে কি না, জানতে চাইলে ওসি বলেন, বন্ধুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা সন্দেহের কথা মেয়েটি এখন পর্যন্ত পুলিশকে বলেনি। সেই বন্ধুটি হাসপাতালে মেয়েটির পাশেই রয়েছেন।
তবে লালবাগ থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, বন্ধুটিকে তাঁরা সন্দেহের বাইরে রাখেননি। ছেলেটি আদৌ পানি কিনতে গিয়েছিলেন কি না বা ধর্ষণকারীদের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসাজশ রয়েছে কি না, এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন