সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

আবাসিক এলাকায় পলিথিন কারখানা : বিপন্ন পরিবেশ

খুলনা মহানগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের হাফিজনগর আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী পলিথিন উৎপাদন কারখানা। ফলে আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। পাশাপাশি কারখানার গা ঘেঁষে থাকা ময়ূর নদীর পরিবেশও বিপন্ন হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনাপত্তিপত্র জাল করে এবং পরিবেশ অধিদফতরের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই আবাসিক এলাকায় পলিথিন কারখানার অনুমোদন নেয়া হয়। এলাকাবাসী কারখানাটি উচ্ছেদ করার বিষয়ে অভিযোগ দিলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি অধিদফতর।

সর্বশেষ বুধবার পরিবেশ অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালকের নিকট এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ করলে দ্রুত কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, সোনাডাঙ্গা থানাধীন হাফিজনগর আবাসিক এলাকার ৫৫৭১নং মৌজায় নগরীর নূরনগরের বাসিন্দা মঈন উদ্দিনের মালিকানাধীন সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ প্লাস্টিক কারখানা পরিচালনা করছেন। ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর তিনি পরিবেশ অধিদফতর থেকে ভুয়া কাগজপত্র এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেন।

ওই সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ময়ূর নদীর তীর ঘেঁষে তেমন আবাসিক এলাকা বা বসবাসযোগ্য কেউ নেই। অথচ ২০১১-১২ সাল থেকেই ওই এলাকায় জনসাধারণের বসবাস শুরু হয়েছে।

এছাড়া ১৭নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি হলেও তিনি ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে অনাপত্তিপত্র পরিবেশ অধিদফতরে প্রদান করেন। সব কিছু ম্যানেজ করার পর পরিবেশ অধিদফতর সাদিয়া এন্টারপ্রাইজকে পলিদানা হতে রোল পরিবহন ও সেচ পাইপ প্রস্তুতের জন্য অনুমোদন দিলেও এর কোনোটাই মানা হয় না কারাখানায়।

হাফিজনগর এলাকার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বেলাল হোসেনসহ একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, পলিথিন পোড়ানোর সময় এলাকায় গন্ধে থাকা যায় না। শিশু থেকে বয়স্ক সবারই শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। তবে পরিবেশ অধিদফতর এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ যুগান্তরকে বলেন, ‘পরিবেশ নষ্টকারী কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমি ছাড়পত্র দেইনি। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক স্থানীয় এক পত্রিকার মালিকের আত্মীয় বলে প্রভাব বিস্তার করে।’

২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, ‘আমার সিল ও স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তবে ১৭নং ওয়ার্ডের কারখানায় ২১নং ওয়ার্ডের অনাপত্তিপত্র দেখে কীভাবে পরিবেশ অধিদফতর ছাড়পত্র দিল সেটা বুঝতেছি না।’ প্লাস্টিক কারখানা সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমার সব কাগজপত্র আছে। ফায়ার সার্ভিস, ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্স, ভ্যাট, পরিবেশের ছাড়পত্র আপডেটেড।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা

বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ৭২ কর্মকর্তা চাকরি ছেড়েছেন।বিস্তারিত পড়ুন

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্যবিস্তারিত পড়ুন

তীব্র গরমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৪২বিস্তারিত পড়ুন

  • ঢাকাতে রাত ১১টার পর মহল্লার চা দোকান বন্ধের নির্দেশ
  • থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
  • অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
  • ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের কমলো স্বর্ণের দাম
  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ শরিফ
  • রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট
  • ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
  • তিন বিচারপতি আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন
  • বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাচ্ছে গোলাপি চাঁদ
  • মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি