আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, বিক্রি করি না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ বিক্রি করে না, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। বরং যারা অভিযোগ তুলে তারাই বিক্রি হয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সমঝোতা নিয়ে যারা দেশ বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন তাদের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কিসের মাপে দেশ বিক্রি হচ্ছে, বিক্রিটা হয় কীভাবে?
তিনি বলেন, ২১ ও ২২ জুন আমি রাষ্ট্রীয় দ্বিপাক্ষিক সফর করেছি। একই মাসে সরকার প্রধান হিসেবে দুইবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এসবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।
তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করে, তাদের জানা উচিত, একটি মাত্র মিত্রশক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। বিশ্বে যারাই অন্য দেশকে স্বাধীনতায় সহযোগিতা করেছে, তারা কিন্তু ফেরত যায়নি। একমাত্র ভারত ব্যতিক্রম।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নতুন সরকার গঠনের পর এটিই ছিল কোনো দেশে আমার প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। একইসঙ্গে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের পর ভারতেও ছিল এটি প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের দ্বিপাক্ষিক সফর। এটি অবশ্যই আমার এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতামূলক বিশেষ সম্পর্কেরই বহিঃপ্রকাশ। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও নিকটতম প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সম্পর্কের সূচনা হয় তাকে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
‘দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি’‘দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়ে আলোচনা করেছি’
শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের টানা তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমি ৮ থেকে ১০ জুন নয়াদিল্লি সফর করি। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই সফরে আমি ভারতের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দক্ষিণ এশিয়াসহ অন্যান্য দেশগুলোর একাধিক সরকার প্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করি। পাশাপাশি আলাদাভাবে আমার সঙ্গে ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার সরকার প্রধানদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এসব আলোচনা ও বৈঠক আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে সহায়ক হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঘুরে আসুন ঐতিহ্যবাহী শহর ভিগান থেকে
অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এশিয়ার দেশগুলোর ঐতিহ্য এবংবিস্তারিত পড়ুন
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ জন ছুঁই ছুঁই
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭বিস্তারিত পড়ুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও হামলারবিস্তারিত পড়ুন