আমার দেখা তামিমের অন্যতম সেরা ইনিংস
চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট দেখে আমার নিজেরই দ্বন্দ্ব লেগে গেছে। একি উইকেট এটা। বল কীভাবে আসবে, কোন দিকে টার্ন নেবে, নীচু হবে না লাফিয়ে উঠবে- কোনভাবেই বোঝা মুস্কিল। এত কঠিন উইকেটে ব্যাটিং করাটা শুধু কঠিন নয়, এর চেয়েও বেশি কিছু। এমন উইকেটে তামিম যে ব্যাটিং করেছে, তা দেখে তো আমি রীতিমত মুগ্ধ।
আমার তো মনে হয়, আজকের চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি আর পায়নি তামিম ইকবাল। ডাবল সেঞ্চুরি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সেঞ্চুরিও করেছে আরও বেশ কিছু ম্যাচে। তবে, আমার মনে হয় এত কঠিন উইকেটে সে আর কখনও ব্যাট করেনি। এতটা জটিল ও রহস্যময় উইকেটে যে ব্যাটিংটা সে করেছে, তা সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এই উইকেটে ৭৮ রানের ইনিংস- কম কথা নয়। ব্যাটিং বান্ধব উইকেট হলে, আমার বিশ্বাস তামিমের এই ইনিংসটা আরও লম্বা হতো।
টেস্টের মাত্র দু’দিন গেলো। এই দুই দিনে আমি মনে করি, আমরাই এগিয়ে। প্রথমদিন বোলাররা ভালো করেছে। আজ ব্যাটসম্যানরা ভালো করেছে। তামিমের কথা তো আগেই বললাম। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সাকিব- অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। যে আউটগুলো হয়েছে, তাতে আমি ব্যাটসম্যানদের দোষ দেখি না। কারণ, এই উইকেটে যে কোন সময় আপনি আউট হয়ে যেতে পারেন। কোনোভাবেই আপনি সেট হতে পারবেন না।
তবুও ছোট-বড় যে তিনটি জুটি হয়েছে, তাতে আমি মনে করি, আমরাই এখনও পর্যন্ত কিছুটা এগিয়ে। পুরোপুরি বলতে পারতাম, যদি শেষ মুহূর্তে, আড়াই ওভার বাকি থাকতে মুশফিকের উইকেটটি না যেতো, তাহলে আমরাই থাকতাম চালকের আসনে।
তবুও আশা আছে। উইকেটে এখনও সাকিব আল হাসান রয়েছে। ৩১ রান নিয়ে ব্যাট করছে সে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে সুহাস (শফিউল ইসলাম) থাকলেও তার ধৈর্য্য ধরে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। একটা ভালো ইনিংস খেলার সম্ভাবনা তারও রয়েছে।
অর্থ্যাৎ আগামীকাল দিনের প্রথম সেসনটা যদি কোনভাবে কাটিয়ে দিতে পারে সাকিব আর শফিউল, কিংবা একটি উইকেট গেলেও, আমি মনে করি- বাংলাদেশই লিগ নেবে। অন্তত, প্রথম সেশনে লক্ষ্য থাকবে ইংল্যান্ডের থেকে যে ৭২ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ, সেটা সংগ্রহ করে যদি ইনিংসটা লেভেল করে ফেলা যায়, তাহলে আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, অন্তত ৫০ থেকে ১০০ রান লিড পাবো আমরা।
এ জন্য আগামীকাল সকালে ব্যাটসম্যানদের খুব সতর্ক এবং দেখে-শুনে ব্যাট করতে হবে। সাব্বির রহমান রুম্মন আছে, মিরাজ আছে- অভিষেক ম্যাচ হলেও এদের সাহস আছে। আমার বিশ্বাস, একটি কিংবা দুটি জুটি দাঁড়িয়ে যাবে এদের মধ্য থেকে। তাহলেই আমরা এগিয়ে থাকতে পারবো।
টেস্টের মাত্র ২দিন গেলো। অনেকেই সম্ভাব্য ফল কী হতে পারে জানতে চাচ্ছে। আমার বক্তব্য হলো, নিশ্চিত এই ম্যাচে ফল হবে। তবে কার পক্ষে যাবে সেটা বলা মুস্কিল। বাংলাদেশকে জিততে হলে, অন্তত প্রথম ইনিংসে ৫০ থেকে ১০০ রানের লিড নিতে হবে। সে সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে খুব বেশি রান করতে না পারে। এরপর বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ থেকে ২২০- এই রেঞ্জের মধ্যে একটা ইনিংস তাড়া করার মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলেই সম্ভবত, ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন