“আমার স্বামী যখন নিজেই আমাকে ধর্ষণ করে তাহলে অন্য পুরুষদের জন্য আমার দেহ ফ্রি”

নুসরাত ফারিয়াঃ Hi আমাদের কন্ঠস্বর।
আমাদের কন্ঠস্বরঃ Hello নুসরাত ফারিয়া?
নুসরাত ফারিয়াঃ আমাদের কন্ঠস্বরের মাধ্যেমে আমার জীবনের এক ভয়ংকর গল্প হাজারো মানুষের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি কি পারবো আপনাদের মাধ্যমে আমার গল্প হাজারো পাঠকদের সাথে শেযার করতে?
আমাদের কন্ঠস্বরঃ অবশ্যই পারবেন । আপনার সেই ভয়ংকর গল্প আমাদের কাছে লিখে পাঠান www.facebook.com/amaderkonthosor এই ঠিকানায়।
চলুন এবার শুনে নেওয়া যাক নুসরাত ফারিয়ার জীবনের সেই ভয়ংকর গল্প।
আমি এখন কলকাতা থেকে বলছি। আমার নাম নুসরাত ফারিয়া। আমার বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালীর কনো এক জেলায়। আমি দুই বছর আগে ঢাকায় চাকরির জন্য আসি। আর সেখানেই আমার সঙ্গে রাজিব নামের এক পশুর পরিচয় হয়। আমি কথন জানতাম না সে কত ভয়ংকর মানুষ। কতো নোংরা মানুষ।
এবার মুল কথায় আসি, আমাকে প্রথম দেখায় রাজিব আমাকে একটা চাকরী দেওয়ার নাম করে তার পরিচিত এক খালার বাসায় তিন মাস রাখে। তার পরে আস্তে আস্তে আমাদের ভালোবাসা হয়। একে অপরকে ভালোসাতে শুরু করি।
এইভাবে ছয় মাস যাওয়ার পরে আমাকে বিয়ে করবে বলে কয়ের বার আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু আমি জানতাম না রাজিব আমাদের এই শারীরিক সম্পর্কের সব তথ্য ভিডিও করে রেখেছে।
এক বছর পরে রাজিব আমাকে বিয়ে করেছে কিন্তু সেটা আসল বিয়ে ছিল না সেটা নকল বিয়ে ছিল। আমি সেটা পরে জানতে পারলাম। আর যখন জানতে পারলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। জানার পরে আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হত না। পাঠকরা বলতেই পারেন, আমাকে সে জোর করে ধর্ষণ করে। আমি তাকে কয়েক বার বলেছিম আমার স্বামী যখন নিজেই আমাকে ধর্ষণ করে তাহলে অন্য পুরুষদের জন্য আমার দেহ ফ্রি । শুধু ভাবতাম কবে যে আমি রাজিবের কাছ থেকে মুক্তি পাবো।
আসলে তখন আমার কিছুই করার ছিল না। কারণ আমি রাজিবকে কিছু বললেই সে আমাকে ভয় দেখাতো। আমার সেক্স ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে। আমি আমার এই সেক্স ভিডিও নিয়ে খুব চিন্তিত থাকতাম । কারণ আমি তখন আমার মানসম্মাকে খুব ভয় পেতাম। আমার ভাই-বোনরা সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এখন আমি কিছুই আর ভয় পাইনা। আমি এখন রাজিবের কাছ থেকে মুক্ত।
রাজিব আমার ও তার সেক্স ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাকে দিয়ে দেহব্যবসা করিয়েছে এক বছর। যদিও আমি এই দেহব্যবসায় রাজি ছিলাম না। আমাকে জোর করে এই ব্যবসায় নামিয়েছে রাজিব। আমি কেউকে কিছু বলতে পারি নি। আমার শুধু একটাই ভয় ছিল। আমার ভিডিও যদি ইন্টারনেটে চলে যাই তখন আমার কি হবে। সর্বশেষ রাজিব আমাকে ভারতে যৌনপল্লিতে পাচার করে দেয়। আমি এখন সেখান থেকে পালিয়ে কলকাতায় আছি ভালো একটা চাকরিও করছি। মোটামুটি খুব ভালোই আছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
আমার এই লেখার উদ্দেশ্য একটাই আমার মত কেউ এই ভুল যেন না করে। রাজিবের সঙ্গে আমার সম্পর্কই একটা ভুল ছিল। আমি চাই না আমার মত কেউ এই ভুল করে। সবইকে অনেক অনেক ধ্যনবাদ। (ছবি প্রতিকি)
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন