শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আমি চাইলেই মেয়েটির বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারি…!

“গত বছর একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে বাড়িতে গিয়ে অবসর সময় কাটাই। অবসর সময় কাটাতে গিয়ে গ্রামীনফোন ২৮২৮ এ একটা ভয়েস একাউন্ট খুলি। তারপর একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। মেয়েটির বাসা কুমিল্লায়। সে একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ছে। কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আমরা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ফোনে আমাদের মাঝে রোমান্টিক কথাবার্তা, চুমু দেওয়া-নেওয়া, এমনকি ফোন সেক্সও হতো। আমি এসব না করতে চাইলেও সে জোর করে করতো! এ ব্যাপারে সে আমার কোন কথা শুনতো না। সে আমাকে দেখা করার জন্য কুমিল্লা যেতে বলতো। দুইমাস পরে আমাদের মাঝে ব্রেক আপ হয়। কারণ আমার সাথে কথা বলার মাঝেও সে প্রায় গভীর রাতে অন্য ছেলের সাথে কথা বলতো। আমি এটা জানার পরে তাকে তিন বার ওয়ার্নিং দিলেও কোন কাজ হয়নি। মেয়েটি খুব মিথ্যা কথা বলতে আর নাটক করতে পারে।

তাই বাধ্য হয়ে রাগের মাথায় আমি নিজে থেকে ওর সাথে ব্রেক আপ করি। এখন আমি একটা চাইনিজ মোবাইল কোম্পানীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছি। ঠিক এক বছর পরে আবার ও আমাকে কল দেয়। আমি ওর প্রতি আগে থেকেই খুব দুর্বল ছিলাম। তাই আবার কথা বলা শুরু করি। এবার আমরা স্বাভাবিক কথাবার্তা বলতাম। এক মাস পরে আমি কুমিল্লা গিয়ে ওর সাথে দেখা করি। আমরা একসাথে প্রায় পাঁচ ঘন্টা সময় কাটাই। ওকে শপিং-এ নিয়ে যাই। আমি ভেবেছিলাম ও এখন ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকায় এসে ওর ফোনের কল লিস্ট আর ফেসবুক একাউন্ট চেক করে আসল রূপটা দেখতে পাই। তারপর একরাতে মদ খেয়ে মাতলামি করে ওকে গালিগালাজ করে খুব ভয় দেখাই। তারপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। দুই সপ্তাহ পরে ও আমাকে কল করে। বলে ও ভালো হয়ে যাবে আর এসব করবে না। সব সময় আমার কথা শুনবে। আমি যেন সারা জীবন ওর পাশে থাকি। আমি ওয়াদা করে ওকে সাপোর্ট দিতে থাকলাম। ওর ফোনের ব্যাল্যান্স থেকে শুরু করে ইন্টারনেট প্যাকেজ আমি কিনে দিতাম। ওকে ঢাকা থেকে গিফট পাঠিয়ে দিতাম। ও নিজের জীবনের সব গল্প আমার কাছে শেয়ার করতো।

আমি ছাড়াও ওর জীবনে বহু ছেলে এসেছিল। এখন একটা ছেলেই শুধু খুব ডিস্টার্ব করছে। এই ছেলে চলে গেলেই ও আগের মত নরমাল হয়ে যাবে। এখন নাকি ওর মাথা থেকে ভালোবাসার ভূত নেমে গেছে। ইদানীং রাতে ঘুমানো আগে থেকে শুরু করে, কলেজ যাওয়ার জন্য সকালে ফোন দিয়ে আমি ওকে ঘুম থেকে তুলে দিতাম। আবারও আমার সাথে রোমান্টিক কথাবার্তা থেকে শুরু করে, ফোন সেক্স শুরু করে। আমি আর কিছু বলিনি। সবকিছু ঠিক চলছিল কিন্তু কিছুদিন আগে ও আবার কলেজ জীবনের একটা ফ্রেন্ডের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ব্যাপারটা ও আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখলেও আমি ওর অন্য বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে জানতে পারি। ওকে জিজ্ঞাসা করলে ও না বলে। আমি ছেলেটিকে ফোনে সব খুলে বললেও সে মেয়েটির কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে না। ছেলেটি লম্পট আর মাদক সেবন করে। ছেলেটির অন্য মেয়ের সাথেও সম্পর্ক আছে। আমি ওকে সব খুলে বলেও কোন লাভ হচ্ছে না। আমি জানি এটা কোন ভালোবাসা না। ও একটা সাইকো মেয়ে, তাই এমন করছে। আমি চাইলে ওর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারি কিন্তু আমি এটা করতে পারি না। আমি ওকে এখন আর সত্যিকার অর্থে না চাইলেও ওর ভালো চাই।

ও যদি এখন কাউকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসে আর বিয়ে করে তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। এখন ও না পারছে ছেলেটিকে ছাড়তে আর আমি না পারছি ওকে ছাড়তে। ভালোবাসা বুঝি এমনি হয়!
এখন আমি কী করতে পারি?”

পরামর্শ:
ভাইয়া, সত্যি কথা বলতে কি মেয়েটি যে কখনো বদলে যাবে না, এটা এতদিনে নিজেও বুঝে গিয়েছেন আপনি। সে কেবলই আপনার সাথে সম্পর্ক করেছিল আর্থিক সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্য। আর যে মেয়ে নিজে থেকেই আগ্রহ করে ফোন সেক্সে রাজি হয়ে যায়, তাও কেবল কিছুদিনের ফোনে ফোনের পরিচয়ে, সেই মেয়েটি কেমন ধরণের সেটা সহজেই অনুমেয়। কিছু কিছু মানুষের জন্য চাইলেও ভালো করা যায় না, এই মেয়েটি তেমনই একজন। আপনি চাইলেও এই মেয়েটির ভালো করতে পারবেন না। কোনভাবেই না। একজনের সাতে প্রেম থাকা অবস্থায় যে আরেকজনের সাথে প্রেম করে আবার সেটা বলেও, এমন মানুষ যে কতটা নির্লজ্জ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। মেয়েটি নিজের শারীরিক মানসিক চাহিদার সামনে অসহায়। নিজের ওপরে তাঁর কোনই নিয়ন্ত্রণ নেই। তাঁর জীবনে একাধিক ভুল ও বিপর্যয় একেবারেই অনিবার্য। ভাই, নিজের ও নিজের পরিবারের ভালো চাইলে মেয়েটির কাছ থেকে নিজেকে অবশ্যই সরিয়ে নিন। এমনভাবে সরিয়ে নিন যেন কিছুতেই সে আপনাকে আর খুঁজে বের করতে না পারে। আজকে মেয়েটি যে ছেলের জন্য পাগল, কিছুদিন পর সে ছেলে প্রতারণা করার পর মেয়েটি আবারও আপনার কাছেই ফিরে আসবে। আবারও আপনি সব ভুলে গিয়ে মেয়েটির জন্য পাগল হবেন। দুদিন পর মেয়েটি আবারও আপনাকে ভুলে আরেকজনের জন্য পাগল হবে। কেন বারবার তাঁকে সুযোগ দেবেন নিজের ফায়দা তোলার?

এই মেয়েটির সাথে প্রেম বা বিয়ে চালিয়ে গেলে আপনি তো বটেই, আপনার পরিবারের জীবনও নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি ভালো মানুষ, মেয়েটির খারাপ করার কোন প্রয়োজন আপনার নেই। তাঁর ভালো করারও কোন দরকার নেই। একান্তই যদি ভালো করতে চান, মেয়েটির বাড়িতে তাঁর সম্পর্কে জানিয়ে দিন। বাড়িতে বলুন যেন তাঁকে ঠেকায়। এই ধরণের মেয়েরা নিজের দুঃখের কথা বলে, নিজের পরিবার কত খারাপ সেটা বলে ছেলেদের সহানুভূতি আদায় করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে উল্টো তাঁরাই পরিবারকে অত্যাচার করে। আপনি নিজেকে সরিয়ে নিন, তারপর মেয়েটির বাড়িতে জানিয়ে দিন সব। এরপর সৃষ্টিকর্তার যা ইচ্ছা তাই হবে। প্রত্যেক মানুষকে নিজের কর্মফল ভোগ করতে হয়, মেয়েটি সেই হিসাব থেকে রেহাই পাবে না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী