”আমি যখন বাড়িতে না থাকি তখন আমার স্বামী ফেসবুকে মেয়েদের সঙ্গে ..”!!
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেনঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণী।
আমার বিয়ে হয়েছে দুবছর হয়েছে। আমার একটি বাচ্চা আছে। আমার বয়স ২১ বছর। আমার স্বামীর বয়স ৩৬ বছর। আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেই থাকি। আমার স্বামী আমার প্রতি খুব উদাসীন। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। আমি আমার স্বামীকে বললে সে বলে যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমার শাশুড়ি আমার বাবা-মা নিয়ে যা মনে আসে তাই বলে। সে আমাদের ঘরে যখন তখন ঢুকে যাবে কিন্তু তাকে নাকি কিছু বলা যাবে না! সে আমার সঙ্গে কথায় কথায় খারাপ ব্যবহার করে।
আমার স্বামীকে বললে সে বলে যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি যখন বাড়িতে না থাকি তখন আমার স্বামী ফেসবুকে মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে। আমি তাকে কিছু বললে সে খুব খারাপ ব্যবহার করে। আমার স্বামী আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। আমি তার কাছে এই ফেসবুকের বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমার সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। আমার বাবার অবস্থা ভালো না তাই নিয়ে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক কিছু বলে; সে চায় আমি আমার বাবা বাড়ি থেকে কিছু আনি। আমার স্বামীও মনে মনে তাই চায়। এমন কী ফেসবুকে আমার স্বামীকে তার আগের স্ত্রীর প্রোফাইল চেক করতে দেখছি। আমার মনে হচ্ছে আমার স্বামী এখনও তার আগের স্ত্রীকে ভুলতে পারেনি।
আপু আমি অনেক কষ্ট নিয়ে আছি। বুঝতে পারছি না কী করব। অনেক সময় মনে আসে যে চলে যাই, কিন্তু বাবার অবস্থা ভালো না। বাচ্চাকে কীভাবে মানুষ করব। আপু আমি আমার বাবা-মা কে এই বিষয়ে জানিয়েছি। তারা বলছে মানিয়ে নিয়ে থাকতে। কিন্তু আমার স্বামীকে যখন দেখি আর সকল বিষয়ে মনে পড়ে তখন খুব কষ্ট হয়। আমার সঙ্গে আমার স্বামীর ততটা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক না যতটা তার সঙ্গে তার আগের স্ত্রীর ছিল। তাকে যদি বলি যে সে আমাকে ভালোবাসে না, তখন সে বলে- পাগলের মতো কথা বলো কেন! আমার বউকে আমি ভালোবাসব তো কাকে ভালোবাসব! কিন্তু আমি তার ভেতরে এমন ভাব দেখি না। আমাকে একটি সমাধান বলে দিন।
পরামর্শ,
আপু, চিঠিতে যদিও তুমি লেখ নাই যে তোমাদের বিয়েটা প্রেমের নাকি অ্যারেঞ্জ, কিন্তু আমি বুঝতে পারছি সম্ভবত আরেঞ্জ। খুব সম্ভবত আর্থিক অবস্থা খারাপ বলেই তোমার মা-বাবা বয়সে অনেক বড় একজন লোকের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে তোমাকে বিয়ে করাতেও দ্বিধা করেন নি। এবং স্পষ্ট ভাষায় বলতে গেলে অত্যন্ত অন্যায় করেছেন মা বাবা তোমার সাথে। যাই হোক, যেটা হয়ে গিয়েছে তা তো হয়েছেই। মা বাবা যেহেতু বলে দিয়েছেন যে তাঁরা তোমার পাশে দাঁড়াবেন না, তাই নিজের চিন্তা করতে হবে নিজেকেই।
তোমার বয়স মাত্র ২১, এত অল্প বয়সে বাচ্চাটা নেয়া একদমই উচিত হয় নি। এই বাচ্চা না থাকলে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়াই তোমার জন্য সহজ হয়ে যেত। কিন্তু আপু, এই বাচ্চা আছে বলে তুমি যদি লেখাপড়া বন্ধ করে বসে থাক, সেটা হবে তোমার জীবনের সবচাইতে বড় ভুল। কেননা আর্থিক ভাবে কারো প্রতি নির্ভরশীল হওয়া চরম বোকামি। আজীবন তাহলে অন্যের কথাতেই চলতে হবে। তুমি যতটা সম্ভব স্বামী ও শাশুড়ির সাথে মিল দিয়ে থাক। তাঁরা যা করবে মেনে নাও আপাতত কিছুদিন, তাঁদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে লেখাপড়াটা আবার শুরু করো। পাশাপাশি এমন কোন কাজ শেখার চেষ্টা করো যেটা দিয়ে উপার্জন সম্ভব। যেমন রান্না, সেলাই, মেকাপ, শৌখিন জিনিস তৈরি ইত্যাদি। স্বামী বা শ্বশুরবাড়িকে কিছু বলে যখন লাভই নেই, তাহলে কেন অকারণে নিজের সময় অপচয়। আপাতত মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই, তাই মেনেই নাও। কারণ ভালোবাসা জোর করে পাওয়া যায় না। বরং মেনে নিলে আপাতত কিছুদিনের জন্য জীবনে অশান্তি কিছু কম হবে।
নিজেকে শিক্ষিত করে তোলো, নিজে উপার্জন করতে শেখ। তুমি যখন ব্যস্ত থাকবে নিজেকে নিয়ে, স্বামীর সাথেও মনোমালিন্য কম হবে। ফলে আস্তে আসলে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটতেই পারে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবার পরও যদি তোমার মনে হয় যে এই সংসার আর করতে চাও না, তখন তো ডিভোর্সের রাস্তা খোলা রইলোই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন