আরো একবার বিশ্বকে কাঁদিয়ে হাতে হাত রেখেই চলে গেলেন তারা
প্রেম-ভালোবাসার অপূর্ব নিদর্শন ট্রেন্ট উইনস্টিন আর ডলরেস উইনস্টিন। প্রেমে-বিরহে, সুখে-দুঃখে, স্মৃতিতে, রোমাঞ্চে একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন প্রায় ৬৪ বছর। হাত ছাড়েননি তবু। মৃত্যুতেও ছাড়লেন না সে হাত। হাসপাতালের বিছানায় হাতে হাত ধরেই অবসান ঘটলো তাদের ৬৪ বছরের বিবাহিত জীবন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলের বাসিন্দা ট্রেন্ট উইনস্টিন আর ডলরেস উইনস্টিনের সংসার জীবন শুরু হয়েছিল প্রায় ৬৪ বছর আগে। তখন থেকেই তাদের একসঙ্গে পথচলা। জীবনের শেষ মুহূর্তেও ছিলেন একে-অপরের হাত ধরে। একসঙ্গে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
তাদের পরিচয় টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ডিকসন কাউন্টিতে। সেটা ১৯৫০ সালের কথা। একে অপরের সঙ্গে যখন পরিচয় হয় তখন ট্রেন্ট ছিলেন কোরিয়ান যুদ্ধের এক সৈন্য। যুদ্ধ যখন চলমান চিঠিতেই তখন তাদের মন দেয়া-নেয়া চলে।
দুজনের পছন্দ অপছন্দে ছিল চরম অমিল। ডলোরাস রান্না করতে পছন্দ করতেন। ট্রেন্ট ছিলেন বহির্মুখী স্বভাবের। পছন্দ করতেন গলফ খেলতে আর মাছ ধরে সময় কাটাতে।
বিয়ের পরে তাদের ঘরে আসে মেয়ে শেরিল ও ছেলে এডি। নাতি-নাতনি তিনজন। তাদের ছেলেমেয়ের সংখ্যা ৭ জন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন পার করে আর মাস খানেক পরেই তাদের ৬৪তম বিবাহবার্ষিকী পালন করার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগেই ৬ ডিসেম্বর ট্রেন্টকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ডলোরেস মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। দু’জনকে হাসপাতালের পাশাপাশি বিছানায় রাখা হয়। ৯ ডিসেম্বর মাকে ডাকতে গিয়ে চমকে ওঠেন মেয়ে শেরিল। মা আর তাদের মাঝে নেই।
ডলোরাসের মৃত্যুর শোক ৮৮ বছর বয়সী ট্রেন্ট সামলাতে পারেননি। বিকেল বেলা তিনিও চলে যান না ফেরার পাশে। ১৬ ডিসেস্বর একসঙ্গেই তাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি কবরেই সমাহিত করা হয় এ দম্পতিকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন