শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আলফাডাঙ্গায় শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট বাণিজ্য!

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চাহাঠী কঠুরাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নির্বিঘেœ চলছে প্রাইভেট বাণিজ্য। সরকার প্রাইভেট বাণিজ্যের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করলেও তা মানছেন না ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ইলিয়াস উদ্দিনসহ অন্যরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে প্রাইভেট বাণিজ্যের কারণে তাদের সন্তানরা লেখাপড়ায় মনযোগী হচ্ছে না। তারা প্রাইভেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এতে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হেলেঞ্চাহাঠী কঠুরাকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন ইলিয়াস উদ্দিন। এসময় এ প্রতিবেদককে দেখে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেন। শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টো ওই প্রতিবেদককে দেখে নেয়ার হুমকি দেন ইলিয়াস উদ্দিন। তিনি এও বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভয় পাই না। পারলে কিছু কইরেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিয়াস উদ্দিন গণিতের সিনিয়র শিক্ষক। সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে দুই ব্যাচে ৫০-৬০ জন করে ছাত্র-ছাত্রী পড়ান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রাইভেট পড়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্য করেন ইলিয়াস স্যার! অন্যথায় পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখান। তাই বাধ্য হয়ে স্যারের কাছে পড়তে হয় তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, ইলিয়াস স্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়লে বকা-ঝকা করেন, পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখান। ওনার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের পরীক্ষার হলে উত্তর বলে দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস উদ্দিন জানান, সরকার কী নিয়ম করেছে তা আমি জানি না। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে আমি শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াই।’

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে প্রাইভেট বাণিজ্যের কারণে তাদের সন্তানরা লেখাপড়ায় মনযোগী হচ্ছে না। তারা প্রাইভেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এতে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু তাদের সন্তানদের কিছু করার নেই। কারণ ওই স্যারের কাছে না পড়লে পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেয়ার ভয় দেখানো হয়। তাই ইলিয়াস স্যারের কাছে সন্তানদের পড়াতে বাধ্য হন অভিভাবকরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হেলেঞ্চাহাঠী কুঠরাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রসুল বলেন, ‘শিক্ষকরা সরকারি প্রাইভেট বাণিজ্যের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রাইভেট পড়ায়। নিয়মের বাইরে প্রাইভেট পড়ায় কি না তা আমার জানা নেই।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাফুজা বেগম বলেন, ‘প্রাইভেট বাণিজ্যের ওপর সরকারের বিধি নিষেধ রয়েছে। সরকারি বিধি অমান্য করে কেউ স্কুলের আসবাবপত্র, রুম ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রাইভেট বাণিজ্য করলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন

সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন

১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার

এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন

  • বিশ্ব অর্থনীতির তালিকায় জাপানকে ছাড়িয়ে গেল রাশিয়া
  • ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে এডিপি বাস্তবায়ন শতভাগ
  • এডিবি ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে সামাজিক নিরাপত্তায়  
  • ত্রিভুজ ক্ষমতাকাঠামোর অধীনে প্রণীত ত্রিশঙ্কু বাজেট
  • ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর নিলাম মঙ্গলবার
  • নিজ ভূমি অধিকার সুনিশ্চিত করলে তা জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়ক হয় : ভূমিমন্ত্রী
  • বছরের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে: অর্থমন্ত্রী
  • এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৪১ শতাংশ
  • ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি গ্ৰহনে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর সুযোগ রয়েছে’
  • বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল
  • নীতি সহায়তা যুক্ত হচ্ছে রফতানিতে
  • দেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলার