আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেছে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় কমিটি আহ্বান করেছিল বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ। সে কমিটিতে মতবিরোধের জের ধরেই হাঙ্গামা বাঁধে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, উপজেলায় কোনো ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নে দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। কিন্তু দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সমর্থিত গ্রুপ এ উপজেলায় রাতারাতি কমিটি করে নিজেদের পছন্দের লোকদের প্রার্থী করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার উপজেলা কার্যালয়ে তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়।
সভা চলাকালে দলের জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ সমর্থিত গ্রুপের পক্ষে ৩নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও শেখ হারুনের ভাইপো হাদীউজ্জামান হাদী এবং ৪নং সুরখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম ফরিদ রানা জোর প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজা গ্রুপের পক্ষে উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আশরাফুল আলম, ভান্ডারকোর্ট ইউনিয়ন আ’লীগের নেতা উবায়দুল্লাহ ও মিজানসহ অন্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ওসি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে।
আহতদের মধ্যে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ, কনস্টেবল সাইদুর রহমান ও জসিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাদীউজ্জামান হাদী, এসএম ফরিদ রানা উল্লেখযোগ্য।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
খুলনায় তিন কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনতাই, গণসিল, মহিলার কারাদণ্ড
খুলনার ফুলতলা উপজেলার দুটি ভোট কেন্দ্রের তিনটি বুথে ব্যালট বইবিস্তারিত পড়ুন
৪ হাজার কোটির খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রস্তুত
ট্রেন চলাচলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুনবিস্তারিত পড়ুন
খুলনায় ছাত্রদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনা ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রদলকর্মী আবদুল্লাহবিস্তারিত পড়ুন