আসছে বছর ৩৬ কোটি বই ছাপবে সরকার
২০১৭ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য মোট ৩৬ কোটি ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৯টি বই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, দাখিল, দাখিল ভোকেশনাল, এসএসসি ভোকেশনাল, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক সহায়িকা ও শিক্ষক নির্দেশিকার জন্য এইসব বই ছাপানো হবে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমবারের মতো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাদরি, ও গারো এ ৫টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বই ছাপানো হবে। শিক্ষকদের জন্যও এবারই প্রথম প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে টিচিং গাইড এবং টিচিং কারিকুলাম গাইড তৈরি করবে এনসিটিবি। প্রাথমিকের শিক্ষকদের জন্য ৬০ লাখ, মাধ্যমিকের শিক্ষকের জন্য থাকছে ৪০ লাখ ৩২ হাজার নির্দেশিকা। এতে করে শিক্ষকের মান বৃদ্ধি ও পাঠদান পদ্ধতি আরো উন্নত হবে। একইভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৯ হাজার ৬৬টি ব্রেইল বই তৈরি করা হবে।’
অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও বছরের প্রথম দিন বই উৎসব উদযাপন করার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় আসছে বছরও পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব হবে। পৃথিবেীর কোনো দেশেই বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই দেয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেনি। একমাত্র আমরাই শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিন নতুন বই তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এ অর্জন দেশের বাইরেও আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। এ কাজ কীভাবে সম্ভব হলো তা বিস্ময়ভরে জানতে চায় পৃথিবীর মানুষ।’
এসব অর্জনের জন্য এনসিটিবিকে মুখ্য নায়ক আখ্যায়িত করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এনসিটিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগ্রণী ভূমিকার কারণে আজকে আমরা দেশে-বিদেশে এ অর্জনের সহযাত্রী হতে পেরেছি।’
২০১৬ সালে সঠিকভাবে বই ছাপানো, বাঁধানো এবং স্কুলে স্কুলে সময়মত বই পৌঁছে দেয়ার কৃতিত্বের জন্য শিক্ষামন্ত্রী এনসিটিবির কর্মকর্তাদের সম্মানী হিসেবে ডিসেম্বর মাসের সমপরিমাণ বেতন প্রদানের ঘোষণা দেন।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বইয়ে ভুল থাকা এবং কিছু প্রবন্ধের বিরুদ্ধে আপত্তি রয়েছে। ভুল সংশোধন হচ্ছে। আপত্তির বিষয়গুলো বিবেচনা করে সংশোধন করা হচ্ছে। সবকিছু রাতারাতি সম্ভব না। ক্রমান্বয়ে ভুল সংশোধিত হচ্ছে। আশা করছি ধীরে ধীরে এনসিটিবিরি বই সবখানে সমানভাবে সমাদৃত হবে।’
শিক্ষা সচিব বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় সব সময় এনসিটিবির পাশে আছে এবং থাকবে। শুধু দুটি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো ছাড় দেবে না, পাশেও থাকবে না। এক. ইচ্ছাকৃত ভুল। দুই. দুর্নীতি। কেউ যদি এসব করে তাহলে এর দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিতে হবে।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন এনডিসি ও এনসিটিবির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. রতন সিদ্দিকী প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন