আস্তে আস্তে চুমা দিও কামড় দিও না (ভিডিও)
ফুল দিও কলি দিও কাঁটা দিও না, আস্তে আস্তে চুমা দিও কামড় দিও না’ এমন বাক্যের থিম সং এর সঙ্গে ফেসবুক লাইভে অশ্লীলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করায় তোপের মুখে পড়লেন রেডিও স্পাইসি এফএম’র (৯৬.৪) আরজে তাজ।
সম্প্রতি স্পাইসি রেডিও এফএমটির আরজে তাজ ‘কামড় দিও না’ গানটির সঙ্গে অশ্লীলভাবে নাচানাচি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। গানটিতে তাজের সঙ্গে নেচেছেন অভিনেত্রী শেহতাজ।
জানা যায়, এটি স্পাইসি এফএম’র থিম সং। রেডিওর ইউটিউব চ্যানেলে এমন আরো কয়েকটি ভিডিও আছে যেখানে অশ্লীল পোশাক ও উত্তেজনামূলক অঙ্গভঙ্গিতে উপস্থাপন করতে দেখা যায় আরজে তাজকে। ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মডেল ও অভিনেত্রীকে উপস্থিত থেকে সঙ্গ দিতে দেখা যায়।
ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিও গুলোর নিচে কমেন্টসে অনেকে এর তীব্র সমালোচনা করেন। শামিম আহামেদ নামের এক দর্শক (ভিউয়ার) লিখেন, এটা কি পর্ণ ভিডিও’র বিজ্ঞাপন ছিলো নাকি? প্রবাসী জীবন নামে একজন লিখেন, রেডিও স্টুডিওতেও এতো নোংরা কিছু হয় জানতাম না। মাহমুদুল হাসান নামে একজন লিখেন, কোন দিকে যাচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি। এভাবে উপস্থাপন করে গানের সর্বনাস করছে। এমন অনেকেই তীব্র মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে আরজে নীরব বলেন, ‘আমার যা মনে হয় ওরা যা চেয়েছে তাতে ওরা সফল। আমার মনে হয় ওরা চেয়েছে ভিডিও গুলো নিয়ে মানুষ আলোচনা সমালোচনা করুক। যে জিনিস যত বেশি আলোচনা সমালোচনা হবে তা তত বেশি হিট হবে। প্রথমত ওরা এটাই চেয়েছে সবাই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করুক। আর আমরা সেটাই করছি। দ্বিতীয়ত ওদের ট্যাগ লাইন ছিলো-সিটি অন ফায়ার। ওরা কিন্তু এটা বলে নাই হৃদয়ে প্রতিধ্বনি বা হৃদয়ে বাংলাদেশ। ওরা যেটা বুঝাচ্ছে ওরা এমন কিছু করবে যেটার জন্য মানুষ আলোচনা সমালোচনা করবে। মানুষ ফায়ার হয়ে যাবে।’
‘এখন বিষয়টা হচ্ছে আপনি শুনবেন কি শুনবেন না এটা আপনার উপর। ওদের যুক্তিতে ওরা ঠিক। ভিডিওতে নাচ বা উপস্থাপন নিয়ে যদি বলেন সেক্ষেত্রে আপনার আমার কিছু বলার নেই কারণ ওনাদের আইডিতে ওনারা যা খুশি দিচ্ছেন। ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষের যে নিয়ম কানুন আছে তা মেনেই হয়তো ওরা তা প্রকাশ করছেন। সেখানে আমার আপনার কি বলার থাকে। আপনার পছন্দ না আপনি দেইখেন না। আপনি সেটা বয়কট করুন। বরং আমরা বোকার মতো তাদের বিজ্ঞাপন করছি। আর সেটাই তাদের উদ্দ্যেশ্য ছিলো। আমি আবারও বলি ওনারা সফল।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু বাংলাদেশের রেডিওর প্রথম ব্যক্তি আপনি যদি আমার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে জানতে চান তাহলে আমি বলবো এটা আমার জন্য লজ্জার। আমি যদি ওই রেডিও ষ্টেশনের দায়িত্বে থাকতাম তা হলে আমি এ ধরনের গান বাজাইতে দিতাম না। যদিও কোন আইনের মধ্যে পরে না। তারপরও এটা যেমন হাস্যকর তেমনি সুরসুরিউদ্দীপক। আমার ষ্টেশন হলে আমি এমন কিছু কখনোই করতাম না বা করতে দিতাম না।’
এ নিয়ে আরজে ইভান সাইর তার ফেসবুকে লিখেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের এ পেশার মানুষের সম্পর্কে মাতৃভাষা বাংলা বিকৃতির অভিযোগ আছে তীব্রভাবে। যা সত্যি বলতে আমরা একেবারে অস্বীকার করতে পারি না। তারপর সেই সময় পার হয়ে ষ্টেশন গুলোর কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় সে অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যা অনেক ক্ষেত্রেই সফল। সম্প্রতি স্পাইসি’র শেয়ার করা একটি গান ও তার পারফর্মেন্স দেখে রীতিমত নিজের কাছেই লজ্জা লাগছে। এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি বা আধুনিকতার অংশ জানি না। প্রতিষ্ঠানটি যদি এর মাধ্যমে তাদের প্রচার চেয়ে থাকে তা হলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু এ ধরনের প্রচারণা নিঃসন্ধেহে একটি জাতীয় পর্যায়ের মিডিয়ার কাছ থেকে লজ্জার।’
শুধু নিজেদের প্রচারণার উদ্দেশে একটা দেশের গণমাধ্যম হয়ে কিভাবে এমন অশ্লীল ও কুরুচিপুর্ণ নাচ উপস্থাপন ও সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় অনেকে এর তীব্র সমালোচনা করছেন।
https://youtu.be/xVqI_CYznVM
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন