ইঁদুরের দাপটে দিশেহারা পুলিশ, থানায় তাণ্ডব!
ঘটনা এক: মোবাইল চুরির অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে চেয়ারে বসেছেন জলপাইগুড়ির মোহিতনগরের বিপ্লব সরকার৷ হঠাৎ পায়ের মধ্যে কে যেন সুড়সুড়ি দিচ্ছে? লাফিয়ে উঠতেই দেখলেন, ধেড়ে ইঁদুর৷
ঘটনা দুই: রাতে ডিউটি করতে করতেই ক্লান্তিতে চোখ বুজে এসেছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের৷ আইসির ঘর থেকে খসখস আওয়াজ শুনে তন্দ্রা কেটে মুহূর্তে শিরদাঁড়া টানটান৷ ঘরে ঢুকেই চমকে উঠলেন তিনি৷
ঘটনা তিন: ‘কল’-এ যাবেন এক সাব ইন্সপেক্টর৷ ডিউটি রুমের হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখা টুপি টেনে নিতেই তার ভিতর থেকে লাফিয়ে নামল ইঁদুর৷ সারাক্ষণ তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা৷ কখনও জামাকাপড় কেটে দিচ্ছে৷ কখনও আবার কেটে দিচছে জরুরি ফাইলপত্র৷
এই ইঁদুরদের ‘সন্ত্রাস’ রুখতে গত কয়েকমাসে রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা নিউ পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি স্টেশনের জিআরপির অফিসার থেকে কর্মীদের৷ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সেঁকো বিষ থেকে বাজারচলতি ইঁদুর মারার দাওয়াই, কোনওটাই বাদ রাখেননি তারা৷ এমনকী সুহৃদের পরামর্শে ছাড়া হয় বেশ কয়েকটি হুলো বিড়ালও৷ কিন্তু ইঁদুরদের জোটবদ্ধ প্রতিরোধে রণে ভঙ্গ দিয়েছে তারাও৷
ফলে অসহায় পুলিশকর্মীরা এখন কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না৷ কেউ পরামর্শ দিচ্ছেন, যজ্ঞ করুন, কেউ বলছেন, এসআরপির কাছে আবেদন করে সরকারিভাবে থানায় ইঁদুর বিরোধী অভিযান চালানোর দাবি জানানো হোক৷ সমস্যার জাঁতাকলে পড়ে মুষড়ে পড়েছেন এনজেপি জিআরপি-র আইসি স্বপন সরকারও৷ বলেছেন, ইঁদুরের দাপটে থানায় থাকতে চাইছেন না পুলিশকর্মীরা৷ আইসি বলছেন, “চাকরিজীবনের শেষপ্রান্তে এসে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে ভাবিনি কখনও৷ কর্মীরা আমাকে অভিযোগ জানান৷ কিন্তু ইঁদুর তাড়াতে কী করা উচিত তা জানা নেই৷”
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন